নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোর আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী । স্বাস্থ্য দপ্তরের কড়া নির্দেশ জারি। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জ স্বরূপনগর সহ ১০ টি ব্লকে জ্বরের আক্রান্ত সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা সহ ব্লক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন। গত তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ জন। সেইসঙ্গে শরীরে জ্বর উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে মহকুমার বিভিন্ন হাসপাতালের বহিরবিভাগে লম্বা লাইন। বেশ কিছু ব্লক হাসপাতাল থেকে গ্রামীণ হাসপাতালগুলো আশেপাশে নোংরা আবর্জনা স্তূপ রয়েছে ।
পাশাপাশি জল জমে রয়েছে। এমনই ছবি দেখা গেল স্বরূপনগর সারাফুল গ্রামীণ হাসপাতালের চারপাশে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্য সরকার কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যের মুখ্য সচিবের নির্দেশে পৌরসভা ব্লকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে। কোন জায়গায় নোংরা আবর্জনা জল জমে না থাকে সেগুলোর দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ।অন্যদিকে যেসব ড্রেনেজ গুলো রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি নয়নজুলিগুলোতে গাপ্পি মাছ ছাড়ছে শহরে এবং শহরতলীর বিভিন্ন জায়গাগুলোতে। মহাপুজোর আগে ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে। যথেষ্ট দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দপ্তরের কপালে। তাই কোন রকম ভাবে ঝুঁকি নিতে চাইছে না। যেকোনো মূল্যে তারা এই সংক্রমণের হাত থেকে সুস্থ স্বাভাবিক জনজীবন রাখতে বদ্ধপরিকর।সেই কথা জানালেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী তিনি বলেন, আগে যে পরিমাণ নয়নজলি ছিল তাতে বর্তমান রাজ্য সরকার উন্নয়ন করেছে সেগুলো এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। তাই কোনরকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না ।স্বচ্ছ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে হাসপাতালগুলোতে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদের নাম মোবাইল নাম্বার ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
ইতিমধ্যে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন ব্লকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে রক্ত ও লালা পরীক্ষা পাশাপাশি পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা করছে। স্বাস্থ্য দপ্তর কোনমতে ঝুঁকি নিতে চাইছে না দূর্গাপূজার আগে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মদক্ষ দুলাল ভট্টাচার্য বলেন, আমরা সতর্ক আছি কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছি না। ডেঙ্গু রুখতে সব রকম পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজ্য সরকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন, কোনরকম ভাবে জোরে আক্রান্ত রোগী হলে তাদের চিহ্নিত করে হাসপাতালে চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব রকম দায়িত্ব নিয়েছে স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতি।