নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাত পোহালেই ধূপগুড়ি বিধানসভায় উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তরফে ইতিমধ্যে সবরকম রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ধূপগুড়ির প্রত্যেকটি বুথে পৌঁছেছে সেনা জওয়ানরা এবং ভোটার কর্মীরা। দুই দফায় ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
মোট বুথের সংখ্যা ২৬০ টি। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭২ টি চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫৫টি বুথে ওয়েবকাস্টিং করা হবে এবং ১১০ টি বুথে সিসিটিভি থাকবে। মোট ভোটদাতা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬ জন। পুরুষ ভোটার ১৩৮০৯০ জন ও মহিলা ভোটার ১৩১৩২৪ জন। মোট ভোটার কর্মীর সংখ্যা ১২০০। অন্যান্য ভোটে বিকেল পাঁচটার পর ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়। এবার সেই সময়ে পরিবর্তন এসছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থাকছে ২৭ টি কুইক রেসপন্স টিম। রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ও লাঠিধারী পুলিশ থাকছে। সোমবার সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে জারি ১৪৪ ধারা। ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা সাত জন যার মধ্যে পুরুষ পাঁচজন ও মহিলা দুইজন।
ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে ২৬০ টি বুথের মধ্যে দুটি বুথ সম্পূর্ণ মহিলা দ্বারা পরিচালিত বোধ থাকবে বলে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন। যে সমস্ত জায়গায় এক বা দুই টি বুথ থাকবে সেখানে ন্যূনতম ১ সেকশন অর্থাৎ আট জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবং যেখানে তিন ও চারটি বুথ থাকবে সেখানে ন্যূনতম দুই সেকশন অর্থাৎ ১৬ জন আধা সেনা মোতায়েন থাকবে। ফলে অশান্তি এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেই আশা নির্বাচন কমিশনের। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি আসনের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় গত ২৫ জুলাই মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে ওই বিধানসভা আসন শূন্য হয়।