নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দেশখালি: সোমবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে যান ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। সঙ্গে ছিলেন মহিলা পুলিশ অফিসাররা। গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে ফেরার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিআইজি সিআইডি(DIG CID) বলেন, যারা স্পেসেফিক কিছু বলতে চেয়েছে। আমরা ভয় কাটানোর জন্য এসেছিলাম। প্রত্যেকের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছি। এটাও জানিয়েছি ভয়ের কোনও কারণ নেই। আমরা পুরোটাই মহিলা টিম আছি। নিশ্চিন্তে নির্দ্বিধায় কোনও রকম ভয় না রেখে বলতে পারেন। অবশ্যই আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন গ্রামের মহিলারা।নিজেদের মনের কথা বলেছেন।
ডিআইজি সিআইডি আরোও বলেন,সেটা আমরা শুনেছি এবং সেটা ক্ষেত্রে যেটা আমাদের করার দরকার নিশ্চয়ই করব। মঙ্গলবার পুলিশ টিমের কাছে নতুন করে চারটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। ওনাদের যেটা মনে হয়েছে সেটা বলেছেন, সেটা লিখেছেন। গ্রামের মহিলাদের ওপর কি ধরনের অত্যাচার হয়েছিল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিআইজি সিআইডি বলেন,শারীরিকভাবে নির্যাতন বলতে কাউকে মারধর করা হয়েছে। কাউকে ভয় দেখানো হয়েছে। কাউকে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা, অত্যাচার করা হবে এই ভয় দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন রকমের ভয় দেখানো হত। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে বসিরহাটে । বিজেপির এসপি(SP) অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে চলল পুলিশের লাঠিচার্জ(Lathi Charge)। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীদের ইট বৃষ্টি হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এদিন বসিরহাট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সেইমতো শুধু উত্তর ২৪ পরগনা নয়, আশেপাশের জেলা থেকেও হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ছুটে আসেন বসিরহাটের সংগ্রামপুরে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করলে তখনই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি ও পরে সংঘর্ষর চেহারা নেয় এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বিকালে বসিরহাটে(Bashirhat) ফের উত্তেজনা দেখা দেয় পুলিশের সাথে সিপিআইএম কর্মীদের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সিপিআইএম কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে টাকি রোড(Taki Road) অবরোধ করে। মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও সন্দেশখালিতে মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তারা গ্রামে গিয়ে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। বয়ান রেকর্ড করেন মহিলাদের।