এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাল্যবিবাহ রুখতে কন্যাশ্রীদের কাউন্সিলিং করাবে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানায় জেলায় জেলায় কার্যত তুঙ্গে উঠেছিল মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের পরিমাণ। পাশাপাশি হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল নাবালিকাদের বিয়ের সংখ্যা। পরিণতি হিসাবে উঠে আসে আরও বিস্ফোরক তথ্য, অপক্ক শরীরে মা হতে গিয়ে হয় মায়ের প্রাণ যাচ্ছে নাহয় নবজাত শিশুর। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সব থেকে বেশি জোর দেন মেয়েদের স্কুল ছুটের প্রবণতা রুখতে। তার জেরেই ২০১৩ সালে তাঁর হাত ধরে বাংলায় চালু হয় ‘কন্যাশ্রী’(Kanyasree) প্রকল্প যা ইতিমধ্যেই শুধু বাংলাজুড়ে সাড়া ফেলেছে তাই নয়, নজর কেড়েছে দেশের, কদর পেয়েছে বিশ্বেও। কিন্তু কোভিড(Covid) কালের পরে দেখা যাচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা মেয়েদের স্কুলছুটের পরিমাণ আবার যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে তাঁদের নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে হয়ে যাওয়ার সংখ্যা এবং নাবালিকা অবস্থায় মা হওয়ার প্রবণতা। এই ছবি বদলাতে এবার রাজ্যের জেলায় জেলায় কন্যাশ্রীদের কাউন্সিলিং(Counseling) করানোর পথে হাঁটা দিতে চলেছে জেলা প্রশাসনগুলি। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

আরও পড়ুন বিজেপির হাত ধরলে পাশে থাকবে না কংগ্রেস, বার্তা বামেদের

গ্রাম বাংলার দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের আঠারো পেরোনোর আগেই বই খাতা তুলে নাবালিক অবস্থায়তেই বসতে হত বিয়ের পিঁড়িতে। এই সমস্যা রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে আবিবাহিত মেয়েদের মাসিক ৫০০ টাকা ও ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের এককালীন ২৫,০০০ হাজার টাকা দেওয়ার সিধান্ত নেন যাতে তাঁরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু কোভিডের জেরে জেলায় জেলায় দেখা যাচ্ছে ফের বেড়েছে স্কুলছুটের পরিমাণ, বেড়েছে নাবালিকা অবস্থায় বিয়ের সংখ্যা এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে নাবালিকা অবস্থায় মা হওয়ার সংখ্যাও। আরও অবাক করার তথ্য এই সব নাবালিকা মা আবার কন্যাশ্রীর প্রকল্পের আওতাভুক্ত। কার্যত রাজ্যজুড়ে দেখা যাচ্ছে ২০ শতাংশ বিবাহিত কন্যারা নাবালিকা এবং প্রসূতিদের প্রায় ৩০ শতাংশ নাবালিকা। এর জেরেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় যত কন্যাশ্রী সদস্য রয়েছে তাঁদের সবাইকে নিয়ে কাউন্সিলিং করবে জেলা প্রশাসনগুলি। কন্যাশ্রীদের বোঝানো হবে যাতে তাঁরা পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়, নিয়মিত যেন স্কুলে যায় এবং কোনও ভাবেই যেন নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে না করে।

আরও পড়ুন ১২৭টি শহরের পুরস্বাস্থ্য বিভাগ আসছে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে

কোভিডকালে অর্থনীতি বেশ ভালই ধাক্কা খেয়েছে। তার জেরে অনেক পরিবারের আয়ও কমে গিয়েছে। সেই অবস্থায় বাড়ির মেয়েদের নাবালিকা অবস্থাতেই অনেকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে তাঁরাই এখন গর্ভবতী অবস্থায় রাজ্যের জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এতে মা ও শিশুর জীবন নিয়ে উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে। সব থেকে বড় কথা যা কারণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিলেন তার সফলতাও কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। এই ছবি দ্রুত বদলের জন্যই এবার কন্যাশ্রীদের দ্রুত কাউন্সিলিং চালু করতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই কাউন্সিলিং করাবে জেলা প্রশাসন। তাতে সামিল করা হবে বাবা-মাদেরও। কাউন্সিলিংয়ে কন্যাশ্রীদের পাশাপাশি তাঁদের বাবা-মাদের বোঝানো হবে অল্পবয়সে বিয়ে দিলে কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় শুধু নাবালিকা নয় নাবালকদেরও বিয়ের প্রবণতা বেড়েছে। সমবয়সি নাবালক ও নাবালিকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিয়ে হচ্ছে। এই ঘটনা ঠেকাতেও নাবালকদেরও কাউন্সিলিং করানোর কথা ভাবছে রাজ্য প্রশাসন। তবে আপাতত কন্যাশ্রীদের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘আপনাদের থেকে ভোট নিয়েছে, আর ঠকিয়েছে’, পুরুলিয়ার জনতাকে বার্তা অভিষেকের

ব্যারাকপুরের ওয়ারলেস মোড়ে লরির ধাক্কায় মৃত এক ছাত্রী ,আহত আরো দুই পড়ুয়া

জামিন পেলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

শান্তনুকে অস্বস্তিতে ফেলে অনশনে মমতাবালার মেয়ে মধুপর্ণা

লালাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল বিশেষ সিবিআই আদালত

অধিকারীদের জেলায় মমতার হানাদারি ১৬ মে, হলদিয়া-এগরায় সভা, কাঁথিতে রোড-শো

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর