নিজস্ব প্রতিনিধি: ডোমজুড়ে রেলকর্মী খুনের (MURDER) ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে আত্মীয়র নাবালিকা মেয়েকে গর্ভবতী করার পরে রেলকর্মীর ‘টার্গেট’ ছিল নিজের মেয়ে। রেলকর্মী সুরজ সাউ চেয়েছিল নিজের মেয়ের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে। তাই স্বামী সুরজ সাউকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রী রাজেশ্বরী সাউ।
জানা গিয়েছে, রাজেশ্বরীর দ্বিতীয় স্বামী সুরজ। তাঁদের ১১ বছরের মেয়ে রয়েছে। ওই নাবালিকার দিকেই ‘নজর’ ছিল সুরজের। তা নিয়েই শুরু হয়েছিল তুমুল অশান্তি। তারপরে মেয়েকে নিয়ে রাজেশ্বরী চলে গিয়েছিলেন বিশাখাপত্তনমে। সেখানেই তাঁর বাপের বাড়ি। উল্লেখ্য, এর আগে এক আত্মীয়ের নাবালিকা মেয়েকে নির্যাতন করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছিল অভিযুক্ত। যার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল ওই নাবালিকা।
দশমীর রাতে হাওড়ার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪২ বছরের এই রেলকর্মীর দেহ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সুরজকে খুনের পরিকল্পনা ছিল তার স্ত্রীর। এই কাজে যুক্ত রাজেশ্বরীর দিদির ছেলে গুড্ডু রাও এবং শেখ আফরোজ। খুন করেছিল গুড্ডু। আর দেহ লোপাটে সাহায্য করেছিল মিঠুন। তবে মেয়ের ওপর বাবার নজর ছিল, এমন অভিযোগ বা তথ্য উঠে এসেছে বলে নিশ্চিত করেনি পুলিশ।