নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিল স্বাস্থ্যসাথী। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে প্রথম সাতদিনে যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য সাড়ে পাঁচ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য ছয় লক্ষ মানুষ নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন। যদিও রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। আর স্বাস্থ্যসাথী সবার জন্য। তাছাড়া রাজ্যের অধিকাংশ মহিলাই ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ফলে স্বাস্থ্য সাথীর তুলনায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন কম জমা পড়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
রাজ্যে গত বিধানসভা ভোটের পরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুরু থেকেই কার্যত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ঘিরে মহিলাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে লক্ষ্মীড় ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জহন্য হুড়োহুড়ি লক্ষ্য করা গিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরেই ছিল স্বাস্থ্যসাথী। প্রথম থেকেই দুয়ারে সরকার-এর শিবিরে কার্যত দুই প্রকল্পের মধ্যে এক অলিখিত লড়াই শুরু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসাথীকে টেক্কা দিয়ে আগের শিবিরগুলিতে বাজিমাত করেছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রতি মাসে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। আর তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা পান হাজার টাকা করে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকারের তৃতীয় পর্ব। প্রথম সাতদিনে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য মোট ২৩ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য পড়েছে ছয় লাখ আবেদন। লক্ষ্মীড় ভাণ্ডারের জন্য জমা পড়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ আবেদন। জাতি শংসাপত্র চেয়ে এক লাখ আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ এই প্রথম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ছাপিয়ে গেল স্বাস্থ্যসাথী।