নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিতে ঢুকে পড়েছিল ছাগল। নষ্ট করেছিল ফসল। তাঁর জেরে ছাগলের মালিককে চরম শাস্তি দিল প্রতিবেশী। কুপিয়ে খুন করল বাবা ও ছেলেকে। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। প্রতিবেশীর দাবি, তাঁর জমির ফসল খেয়েছিল ছাগল। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে ওই জমিতে ফসল ছিলই না! খুনের (MURDER) কারণ হিসেবে উঠে এসেছে প্রেমের সম্পর্কের কথা।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে জমির মালিক শীতল হালদারের ঘেরা জমিতে ঢুকে পড়েছিল একটি ছাগল। ওই ছাগলের মালিক জীবনানন্দ হালদার। তা জানতে পেরেই শীতল এবং তাঁর ছেলে সুদীপ, ভাই রণজিৎ হাঁসুয়া নিয়ে চড়াও হয় জীবনানন্দের বাড়িতে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শুরু হয় বচসা। শীতলের অভিযোগ, তাঁর জমির ফসল খেয়েছে জীবনানন্দের ছাগল। অন্যদিকে, স্থানীয়দের দাবি ওই জমিতে আদৌ ফসল ছিল না। এদিকে, বচসার মাঝেই শীতলরা হাঁসুয়ার কোপ মারে জীবনানন্দের ছেলে বিবেকানন্দকে। বিবেকানন্দ লুটিয়ে পড়ার পরও তাঁকে ক্রমাগত কোপানো হয় হাঁসুয়া দিয়ে। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসেন বাবা। তাঁকেও টেনে বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে চালানো হয় হাঁসুয়ার কোপ। এরপরেই চম্পট দেয় শীতল, সুদীপ ও রণজিৎ।
জখম বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সাদিখার দিয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসক দেহ পরীক্ষা করে জানান বিবেকানন্দ (৩০) মৃত। জীবনানন্দের (৫৫) শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বলা হয়। তবে পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ এই ঘটনায় নদীয়ার করিমপুর থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার (ARREST) করেছে। ধৃতদের নাম শীতল হালদার, রণজিৎ হালদার ও সরস্বতী হালদার। বিবেকানন্দের পরিবারের দাবি, বিবেকানন্দের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে সুদীপের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ২ বছর আগে বিবেকানন্দের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের পাড়ারই এক মহিলার। বিয়ের ৬ মাসের পরে পুড়ে গিয়েছিল বিবেকানন্দের পা। এরপরেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলার পরিবার। হয়ে যায় বিচ্ছেদ। আর তারপরে গড়ে ওঠে ওই মহিলার সঙ্গে শীতল হালদারের ছেলে সুদীপের সম্পর্ক। তা নিয়েই ছিল মনোমালিন্য। এর জেরেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।