নিজস্ব প্রতিনিধি: চূড়ান্ত গুন্ডামি। আনিস খান(Anis Khan) খুনের ঘটনায় হাওড়া জেলার আমতা থানায় বাম ছাত্রযুব সংগঠন এসএফআই(SFI) ও ডিওয়াইএফআই(DYFI) বিক্ষোভ দেখানোর নামে লাঠি, পাথর, বাঁশ নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে চড়াও হল পুলিশকর্মীদের ওপরে। চূড়ান্ত বর্বোরচিত এই হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এই দৃশ্য দেখে মুহুর্তের মধ্যে ধিক্কার জানিয়েছেন আপামর বঙ্গবাসী। একটি দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুকে যেভাবে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে ফেলা হচ্ছে তা চূড়ান্ত নিন্দাজনক।
আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় অনেক আগেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে বামেরা। কার্যত গোটা ঘটনাটিকে তাঁরা পুরনির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনীতির বিষয় বানিয়ে ফেলেছে। এই ইস্যুকে ঘিরে শুধু হাওড়া, কলকাতা বা আমতায় নয়, গোটা বাংলা জুড়েই আন্দোলন শুরু করেছে সিপিএমের ছাত্রযুব সংগঠনগুলি। কিন্তু শুক্রবার আমতা থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কার্যত সব সীমা লঙ্ঘণ করল এই ছাত্র সংগঠনের জঙ্গি নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা। আমতা থানার সামনে থাকা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তারা চড়াও হল পুলিশ কর্মীদের ওপরে। লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে তারা চড়াও হয় পুলিশকর্মীদের ওপরে। সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। আর আমতা থানায় যখন এই হামলাবাজি চালাচ্ছে সিপিমের ছাত্র সংগঠন তখন আনিস খানের বাড়িতে পোঁছে যান বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। যদিও ঘটনার সময় বাড়ি ছিলেন না আনিসের বাবা বা দাদা।