এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মধ্যরাতে গ্রেফতার শঙ্কর আঢ্য, নেপথ্যে বালুর চিঠি

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৮ ঘন্টার ম্যারাথন জেরা শেষে শুক্রবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র হাতে গ্রেফতার(Arrest) হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বনগাঁ পুরসভার(Bongna Municipality) প্রাক্তন চেয়ারম্যান(Former Chairman) ও বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক(Former MLA) শঙ্কর আঢ্য(Shankar Adhya)। রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলায়(Ration Distribution Scam) ED’র হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik) ওরফে বালুর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন শঙ্কর। গ্রেফতারির কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে শঙ্করের শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা এবং বালুর লেখা একটি চিঠি। শুক্রবার সাত সকালেই শঙ্করের বাড়ি এবং তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় ED। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই জায়গাতেই একযোগে চলে তল্লাশি। শুক্র সন্ধ্যাতেই শঙ্করের শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ টাকা। তারপর মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় শঙ্করকে।

ED আধিকারিকেরা জানিয়েছেন সন্দেহজনক লেনদেন এবং বক্তব্যে অসঙ্গতির কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই বনগাঁ থেকে শঙ্করকে নিয়ে কলকাতার সল্টলেকের CGO Complex-e চলে আসেন ED’র আধিকারিকেরা। এদিন অর্থাৎ শনিবার তাঁকে আদালতে তুলছে ED। সেখানেই শঙ্করকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার মধ্যরাতে বনগাঁর শিমুলতলা এলাকায় শঙ্করের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বেড়িয়ে আসার মুহুর্তে বেশ অস্বস্তিকর পরিবেশের মুখে পড়তে হয় ED আধিকারিকদের।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও সেখানে বিক্ষোভ শুরু করে শঙ্করবাবুর অনুগামীরা। বাধা দেওয়া হয় ED আধিকারিকদেরও। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁদের সামনের সারিতেই ছিলেন মহিলারা। একসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ED আধিকারিকদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। কাচের বোতলও ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপর কোনওমতে শঙ্করকে গাড়িতে তুলে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় ED। রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিস বাহিনী।  

এত কিছুর পরে শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে সহযোগিতা করব।’ ED’র দাবি, নথিপত্র ঘেঁটে লেনদেন সংক্রান্ত যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা সন্দেহজনক। অন্য দিকে, শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য তাঁর স্বামীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টা থেকে তল্লাশি চলছে। ব্যবসার কাগজপত্রই দেখেছেন ওঁরা সারা দিন ধরে। আমরা সবরকম সহযোগিতা করেছি। হঠাৎ রাত ১২টা নাগাদ এক অফিসার এলেন। একটা কাগজ দেখিয়ে বললেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি এটা। তার ভিত্তিতেই ওকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল ওকে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। সেই সূত্রে তিনিও আসতেন। আমরাও যেতাম। তার জন্য গ্রেফতার করতে হবে!’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

নেই কদর, নেই সম্মান, অসীমের পাশে নেই মতুয়া মহাসঙ্ঘ

‘অমিতাভ বচ্চন আর শত্রুঘ্ন সিনহার ভারত রত্ন পাওয়া উচিত ছিল’ অভিমত মমতার

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না, আশ্বাস অভিষেকের

কাঞ্চনের সঙ্গে কল্যাণের ব্যবহার  নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীময়ী  

‘পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে’, কটাক্ষ অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর