নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে কলকাতা সহ রাজ্যের বড় বড় শহরে দূষণ কমাতে রাজ্য সরকার বিদ্যুতিক যানবাহণের ওপর জোর দিচ্ছে। আমজনতা যাতে পেট্রোল-ডিজেলের চার চাকার বা দুই চাকার গাড়ির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার দিকে ঝোঁকেন তার জন্য রাজ্য সরকার Tax’র ক্ষেত্রেও ছাড় দিচ্ছে। এই ছাড়ের কারণে রাজ্যে বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির পরিমাণও। এই অবস্থায় পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdwan) জেলার আসানসোলে E-Scooty’র কারখানা গড়তে চলেছে গুরুগ্রামের শিল্পসংস্থা BQi EV। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সাল থেকেই তাঁদের নতুন কারখানায় উৎপাদন চালু হয়ে যাবে।
দেশে এখন পেট্রল–ডিজেলের দাম আগুন। তার সঙ্গে পেট্রোপণ্য দিয়ে গাড়ি চালালে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। এসব থেকে বাঁচতে মানুষজনের নজর এখন বৈদ্যুতিক যানবাহনের দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় আসানসোলে(Asansol) তৈরি হতে চলেছে বৈদ্যুতিক স্কুটি–মোটরবাইক তৈরির কারখানা। আসানসোল দুর্গাপুল শিল্পাঞ্চলে এই কারখানা গড়ে উঠলে কিছুটা হলেও কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই বৈদ্যুতিক স্কুটি–মোটরবাইক কারখানায় নতুন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। এই সংস্থা ইতিমধ্যেই গুরুগ্রামে তাঁদের কারখানা গড়ে তুলেছে। এটি বাংলার বুকে তাঁদের প্রথম এবং দেশে তাঁদের দ্বিতীয় কারখানা হতে চলেছে। আসানসোলের পাশাপাশি তারা হয়দরাবাদেও একটি কারখানা গড়ে তুলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসানসোলকে বেছে নেওয়ার মূলে উঠে এসেছে, এর ভৌগলিক অবস্থান। বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তে থাকা আসানসোল থেকে ওই দুই রাজ্য ছাড়াও খুব সহজেই বিহার ও ওড়িশার সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়। তাই আসানসোলকে তাঁরা নতুন কারখানা তৈরির জন্য চিহ্নিত করেছেন।
সংস্থার সিইও(BQi EV CEO) রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, বাংলায় এখনই বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁদের শোরুম আছে। বাংলায় চাহিদা রয়েছে তাদের তৈরি বৈদ্যুতিক স্কুটি–মোটরবাইকের। এটাই নতুন করে কারখানা গড়ার তাগিদ তৈরি করেছে। ঝাড়খণ্ড–বিহারের বুকেও তাঁদের সংস্থার ভাল ব্যবসা রয়েছে। উৎকৃষ্ট মানের স্কুটি এবং কম দাম–সহ আধুনিক ডিজাইন আকর্ষণ করেছে ক্রেতাদের। আসানসোলে কারখানা হলে আরও বেশি বেশি করে প্রোডাকশন হবে এবং এই রাজ্যে কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তাঁর দাবি। তাঁরা চেয়েছিলেন বাংলায় একটি কারখানা গড়ে তুলতে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই কারখানা তাঁরা আসানসোলে গড়ে তুলছেন।