এই মুহূর্তে




মাস্টারপ্ল্যান থাকলেও এই বন্যা রুখতে পারতো না, দাবি দেবের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলায় বন্যার(Flood) ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো ঘাটাল সহ বিভিন্ন ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রশাসনের তরফে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে ইতিমধ্যেই। একইসঙ্গে শুধু শেষ কয়েকদিনে ৫ লক্ষ পাউচ জল সরবরাহ করা হয়েছে। এরই মধ্যে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন সেখানকার তৃণমূল সাংসদ(TMC MP) দীপক অধিকারী তথা টলিউডের নায়ক দেব(Dev)। সেখানেই তিনি জানান, এ বার যে বন্যা হয়েছে, তা মাস্টারপ্ল্যান থাকলেও রুখতে পারত কি না সন্দেহ। 

আরও পড়ুন, মমতার চিঠির পরে পরেই DVC থেকে ইস্তফা রাজ্যের ২ প্রতিনিধির

দক্ষিণবঙ্গে অল্প অল্প করে উন্নতি হচ্ছে বানভাসী এলাকাগুলির। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, সর্বত্রই জলস্তর কমছে। বাঁকুড়ার সার্বিক পরিস্থিতি এখন ভাল। যদিও এখনও জলে ডুবে হাওড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক রাস্তা। বুকসমান জলের তলায় বহু এলাকা। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটাল মহকুমাই। রবিবার সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান দেব। সেখানেই তিনি বন্যা ঠেকাতে ঘাটাল মাস্টারপল্যান নিয়ে মুখ খোলেন। জানান, ‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান(Ghatal Masterplan) বাস্তবায়িত হলেও এই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেত কি না, সে নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অনেকগুলি জেলা, হুগলি, ২৪ পরগনা জলের তলায় চলে গিয়েছে। ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এত পরিমাণ জল ধরে রাখার ক্ষমতা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানেও সম্ভব নয় বলে মনে হয়। বৃষ্টির জন্য বন্যা থেকে রক্ষা মিলতে পারে। মাস্টারপ্ল্যানের সুপারিশ করে যে মান সিংহ কমিটি, তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তা হলে ঘাটালের অর্ধেক নদী হয়ে যাবে। অনেকগুলি জায়গাকে নদীতে পরিণত করতে হবে। সেটা তো সম্ভব নয়। তাই নতুন প্ল্যান অনুযায়ী চার কিলোমিটার জমিকে বাঁধে পরিণত করে দু’টি নদীকে মেলাতে হবে। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জমি অধিগ্রহণ চলছে।’

আরও পড়ুন, মোদির হাত ধরেই কলকাতা পাচ্ছে Global Foundries’র ‘সেমিকন্ডাক্টর কারখানা’

উল্লেখ্য, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কথা বলেই দেব এবার তৃতীয়বারের জন্য লোকসভা নির্বাচনে নেমেছিলেন। জিতেওছেন। যদিও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র সরকার কিছুই করছে না, জানাচ্ছেও না। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। আগে এক বার সাংসদ দেবও এলাকাগুলি দেখেছেন। রবিবার আবার ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকায় ঘুরে দেখেন তিনি। ঘাটালের ২ নম্বর চাতাল থেকে নৌকায় করে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান তিনি। ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে। এদিন দেব আরও জানিয়েছেন, ‘আমি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের জন্যই তৃতীয় বার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলাম। সেই কাজ হবেই। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হয় না। রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে কাজটা দ্রুত গতিতে শুরু করার। জমি অধিগ্রহণ এবং জমি পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। বেশ কিছু জমিতে দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে বড় মেশিন ঢুকতে পারবে না। তাঁদের সঙ্গে কথা চলছে। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।’  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

লক্ষ্মী পুজোয় শব্দ বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ বলে প্রচার শুরু পুলিশের

শিলিগুড়িতে চিকিৎসক ও ঔষধ না পেয়ে ভাঙচুর সুপার অফিস,আটক ৩

দুর্ধর্ষ অ্যাকশন মুডে দক্ষিণী সুন্দরী সামান্থা, নয়া সিরিজে সঙ্গী বরুণ, মুক্তি কবে!

ঝাড়গ্রামের ডুলুং নদী থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

সাবধান আর মাত্র ২ ঘণ্টা, ধেয়ে আসছে ব্যাপক বৃষ্টি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর