নিজস্ব প্রতিনিধি: হিরণ চট্টোপাধ্যায়- দিলীপ ঘোষ দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি (BJP) শিবির। এর আগে খড়্গপুরে ব্যানারে হিরণের ছবি ছিল না তা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। হিরণ বলেছিলেন, তিনি ছবিতে থাকার নয়, তিনি কাজের মানুষ। তারপরেই দেখা গিয়েছিল হিরণ অনুগামীদের ব্যানারে নেই দিলীপের ছবি। পুর নির্বাচনে (Municipality Election) জেতার পর হিরণ বলেছিলেন, কারা তাঁকে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন তা প্রকাশ্যে আনবেন। তারপর অবশ্য হিরণ অনেকটাই চুপ। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল হিরণকে হারানোর ‘ব্লু প্রিন্ট’ (Blue Print)। আর তা নিয়েই চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
ফেসবুকে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ফ্যান ক্লাবের পেজে আপলোড করা হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। রয়েছে গেরুয়া তাঁবুরই ২ নেতার কথোপকথন ভাইরাল। যদিও অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ডব্লু ডব্লু ডব্লু ডট এই মুহূর্তে ডট কম। অভিযোগ, ওই কথোপকথন প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি এবং চঞ্চল করের। আর ভাইরাল (Viral) অডিও ক্লিপ (Audio Clip) ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। এমনকি কটাক্ষ করা হয়েছে দলের সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে।
ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা গিয়েছে, এক নেতা বলছেন, হিরণ হারবে ৫০০ ভোটে। সেখানেই শোনা গিয়েছে, নেতা দায়িত্ব নিয়ে বলছেন ৭০০ থেকে ৮০০ ভোটে হারিয়ে দেওয়ার কথা। যে তা পারবেন, তার জন্য কী পুরস্কার উঠেছে সেই প্রসঙ্গও। প্রশ্ন, হিরণকে হারাতে পারলে তিনি আদৌ কোনও সম্মানজনক পদ পাবেন কী না। শোনা গিয়েছে, ওই নেতা বলছেন, ওই এলাকায় একাধিকবার তিনি বহু প্রার্থীকে জিতিয়েছেন, তাই তাঁর কাছে হিরণকে হারানোও কোনও ব্যাপারই না। অপর নেতা এই প্রসঙ্গে একমতও হয়েছেন।
যদিও অভিযুক্ত ২ নেতাই এই অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে বলেছেন, সাজানো ও মিথ্যে। উল্লেখ্য, হিরণ সেই ভোটে হারেননি। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে সৌমেন বলেন, এসব আদৌ সত্য নয়। এরকম সাজানো অডিও ক্লিপ এখন হ্যেই থাকে। হিরণ ফ্যান ক্লাব থেকে আপলোড হয়েছে যখন, তখন হিরণই বলতে পারবেন। তাঁর অভিযোগ, কাওকে দিয়ে গলার স্বর নকল করিয়ে এইসব করা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, শোনা হয়নি ভাইরাল ওই ক্লিপ। বলেন, কতটা সত্যি তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাঁর অভিযোগ, তৈরি করাও হতে পারে এসব। তবে তিনি বলেন, তাঁর মোবাইল দলেরই দফতরে ছিনতাই করা হয়েছিল। ওই ফোন কার কাছে আছে? পাল্টা প্রশ্ন চঞ্চলের!