নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে। মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে জাল পাসপোর্ট তৈরি হত। জাল ছড়িয়ে কলকাতাতেও। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই-এর কাছে। ঠিক কত সংখ্যক পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে, সব তথ্য পেয়েছে সিবিআই। এই চক্রের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশির জন্য জাল পাসপোর্ট তৈরি করে পাক চর সংস্থা আইএসআই। এমনকী, জেএমবি ও আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যরাও জাল পাসপোর্ট তৈরি করত বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।
সম্প্রতি এই ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে কলকাতা-সহ এই রাজ্য ও গ্যাংটকের ২৫ জন পাসপোর্ট অফিসের কর্তা, বিভিন্ন পদের কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। কলকাতা, শিলিগুড়ি সহ এই রাজ্য এবং সিকিমের প্রায় ৫০টি জায়গায় চলে তল্লাশি। এক পাসপোর্ট কর্তা-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে, মূলত নেপাল-সহ ভিন দেশের নাগরিকদেরও ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হত। লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন চলত। এই কাজে দার্জিলিংয়ের এক আধিকারিক যুক্ত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে জাল নথি ব্যবহার করে মোট ৪৬টি পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র থেকে৷
ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি ছাড়াও তিন এজেন্টের বিরুদ্ধে ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’-এর ব্যবস্থা করার অভিযোগও ওঠে। কলকাতা থেকে গ্যাংটকে পোস্টিং নিয়ে যাওয়া দুই পাসপোর্ট কর্তা ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষও নেন বলে অভিযোগ। যে পাসপোর্ট আধিকারিকদের এজেন্টরা কয়েক লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়, তাদের নামের তালিকাও তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছে সিবিআই।