নিজস্ব প্রতিনিধি: নাবালিকা মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ এবং তার প্রতিবাদ করায় নির্যাতিতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানা এলাকায়। এমন ভয়ঙ্কর ও নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তদন্তকারীরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ধর্ষণ করছিল বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ, ওই কিশোরী বাবার এই অত্যাচারের প্রতিবাদ করে। এর পরে তাকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার পর তাকে খুন করে সে। শুধু তাই নয় যাতে খুন বলে ধরা না যায় সেই কারণে খুন করার পর নাবালিকার দেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় সে। তার পর আত্মহত্যা বলে গোটা ঘটনাটি চালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত।
শুধু ওই নাবালিকা মেয়েকে নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বড় মেয়েকেও লাগাতার ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাবার অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাবা এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার পর দিনের পর দিন নিজের ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল বাবা। এমন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করার পাশাপাশি নাবালিকার দেহ স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তদন্তকারীরা।