নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রায় ৪০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আইআইটি কানপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক এস এন ত্রিপাঠি এই দাবি করেছেন। বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বিপুল কর্মসংস্থান হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। চতুর্থ ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিটের (ICAS) চতুর্থ দিনের আলোচনা সভায় ওই অধ্যাপক এই দাবি করেন।
চতুর্থ ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিটের আলোচনা সভায় অধ্যাপক এস এন ত্রিপাঠি বলেন, ‘ভারতজুড়ে বায়ুর মান ডোমেনেই এক মিলিয়ন গ্রীন জব তৈরি হতে চলেছে। এর জন্য আইআইটিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আইআইটিগুলোই পারে প্রশিক্ষণ দিতে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের জন্য কাজের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তার জন্য আইআইটি খড়গপুরকে এগিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা, হাওড়া, ব্যারাকপুর, হলদিয়া, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং রানিগঞ্জ— এই সাতটি শহরকে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (National Clean Air Programme) -এর অধীনে নিয়ে আসে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, যাতে ওই সাত শহরের বাতাসে পিএম২.৫ এর মাত্রা ২০১৭ সালের তুলনায় ২০-২৪ সালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো যায়। প্রথম পর্যাযয়ের ন্যাশনাল ক্লিয়ার প্রোগ্রাম শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সালে। চতুর্থ ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিট (ICAS ২০২২)-এ অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যকে এই সময়সীমার মধ্যে থেমে না থেকে বায়ুদূষণের মোকাবিলা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রথম ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (NCAP) এর সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (NCAP 2.0) শুরু করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মত তাহলে ২০ থেকে ৪০ হাজার গ্রীন জব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।