নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের থাবায় বেঘোরে প্রাণ গেল এক মৎস্যজীবীর। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেন আরও দুই মৎস্যজীবী। ঘটনাটি ঘটেছে, সুন্দরবনের বসিরহাট ফরেস্ট রেঞ্জের ঝিলা ছয় নম্বর খাঁড়ি সংলগ্ন জঙ্গলে। বন দফতর জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জাহাঙ্গীর বাউলিয়া, বাড়ি সুন্দরবনের হেমনগর কোস্টাল থানার দক্ষিণ কালিতলা গ্রামে। তাঁর দুই বন্ধু মৎস্যজীবী অবশ্য কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার দুপুরে নৌকা নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান জাহাঙ্গীর, মনোরঞ্জন মণ্ডল ও শত্রুঘ্ন মণ্ডল নামে তিন মৎস্যজীবী। সুন্দরবন রায়মঙ্গল নদীর গভীরে প্রবেশ করেন তিন মৎস্যজীবী। সোমবার ভোরে তিনজন কাঁকড়ার সন্ধানে আলাদা আলাদা ভাবে এগিয়ে যান। যত সকাল হয়েছে ততই গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করেন তিন মৎস্যজীবী। এর মাঝেই বাঘের গর্জন শুনতে পান মনোরঞ্জন মণ্ডল ও শত্রুঘ্ন মণ্ডল। তারপরেই জাহাঙ্গীরের চেঁচানোর শব্দ শুনতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখেন বাঘের থাবায় মৃত্যু হয়েছে জাহাঙ্গীরের। তখনই সেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসেন দুই মৎস্যজীবী। পুরো বিষয়টি বন দফতরের কর্মীদের জানান দুই মৎস্যজীবী। সেই কথা মতোই জাহাঙ্গীরের দেহ গভীর জঙ্গলে গিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় নি বলেই জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দেহ খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে জাহাঙ্গীরের মৃতদেহের খোঁজ চালাচ্ছে বন দফতরের আধিকারিকরা। ওই মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।