এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই আস্থা পাহাড়ের, ফ্লপ কনভেনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে কনভেনশন ডেকেছিল এক বেসরকারি সংস্থা। প্রথমে জানা গিয়েছিল এর নেপথ্যে রয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও দলের সুপ্রিমো বিমল গুরুং। কেননা মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে গিয়ে ঘোষণা করেন, খুব দ্রুত তিনি পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করিয়ে নিতে চান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকাকালীন সময়েই গুরুং জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আমরণ অনশন শুরু করবেন যদি জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কেননা অনুমান করা হচ্ছে, পাহাড়ের রাশ গুরুংয়ের হাত থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যেতে পারে জিটিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে। তাই সেই নির্বাচন ঠেকাতেই গুরুংয়ের অনশনের হুমকি ও পাহাড়ের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে এক বেসরকারি সংস্থার বকলমে কনভেনশন ডাকার পরিকল্পনা। যদিও এদিন কালিম্পংয়ে আয়োজিত ওই কনভেনশন চূড়ান্ত ভাবে ফ্লপ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পাহাড়ে গিয়ে রাজ্যের মধ্যে থেকেও সর্বোচ্চ স্বশাসিত বোর্ড গড়ে সমস্যা সমাধানের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতেই আস্থা রাখছেন পাহাড়ের জনতা তথা রাজনৈতিক দলগুলি।

গুরুং যে কনভেনশনে পরিকল্পনা করেছিলেন তাতে আবার আমন্ত্রণ জানানো হয় পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকেও। আর তাতেই সামনে চলে আসে গুরুং-বিজেপি যোগ। কিন্তু ঘটনা হল এদিন গুরুং নিজেই যেমন সেই কনভেনশনে যোগ দেননি, তেমনি যোগ দেননি রাজু বিস্তাও। এমনকি সেই কনভেনশনে এদিন পাহাড়ের কোনও রাজনৈতিক দলই যোগ দেয়নি। কার্যত চূড়ান্ত ফ্লপ সেই কনভেনশন। তবে এদিনের কনভেনশনে যোদ দেয় এমন কিছু রাজনৈতিক দল যাদের খাতায় কলমে উপস্থিতি ভিন্ন আর কিছুই নেই পাহাড়ে। সেই সব দলের মধ্যে রয়েছে বিসিপিআরএম, গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস ও কিছু ছোট রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন। এদিন তাঁদের প্রতিনিধিরা এই কনভেনশনে যোগ দেন। কিন্তু কাজের কাজ কার্যত কিছুই হয়নি। পাহাড়ের মানুষ বুঝিয়ে দিল আরও একবার তাঁরা আর ‘দিল্লি কা লাড্ডু’তে আস্থা রাখছেন না। বরঞ্চ তাঁরা পাহাড়ের বুকে শান্তি বজায় রেখে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভরসা রাখছেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই।

এবারে পাহাড় সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একগুচ্ছ প্রকল্পের। স্পষ্ট জানিয়েছেন, দ্রুত হবে জিটিএ এবং তিনটি পুরসভার নির্বাচন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হিল ইউনিভার্সিটির। বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, দিল্লির লাড্ডু না খেতে। খেলেই পস্তাতে হবে। বলেছেন, নির্বাচন সামনে এলেই কারও কারও মনে পড়ে পাহাড়ের মানুষদের কথা। মমতা পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি করেছেন জনসংযোগ। তাতে সাড়া পড়েছে ভালোই। পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janamukti Morcha)। পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সর্বদলীয় রাজনৈতিক সভায় উপস্থিত ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, হামরো পার্টি। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সব দলই সমর্থন জানিয়েছিল জিটিএ নির্বাচনের দাবিতে। পাহাড়ের রাশ নিজেদের হাতে থাকবে না সন্দেহে ‘গোঁ’ ধরেছিলেন শুধু বিমল গুরুং। মমতা নিজেও তাই বলেছিলেন, জিটিএ নির্বাচনে রাজি সকলেই কিন্তু বিমলদের কিছু দাবি রয়েছে। তবে এদিনের একপ্রকার ভেস্তে যাওয়া কনভেনশনে উপস্থিতির হার দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, সেইসব ‘দাবি’ থেকে সরে এসেছে বিমল ও তাঁর দল। আরও স্পষ্ট করে বললে বিজেপির কাছ থেকে সরে এসে মমতার সরকারেই আস্থা রাখছে পাহাড়ের প্রায় সমস্ত দল এমনকি গুরুং-ও। একসময়ের ‘আত্মবিশ্বাসী আমন্ত্রণকারী’ ও আমন্ত্রিতদের অনুপস্থিতির হারই যেন বুঝিয়ে দিল সকলেই উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকারের পাশে। সকলেই জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পক্ষে। কারণ মমতার (Mamata) কথায়, জিটিএ নির্বাচন মানে রাজ্যের মধ্যে থেকেই অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন স্বশাসিত বোর্ড।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাইবার প্রতারণায় উদ্ধার হওয়া সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা ফেরাল নাগেরবাজার থানা

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ

‘দিদিকে’ ভালোবেসে বিনা পারিশ্রমিকে দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অশীতিপর বোস দা

প্রচারে নেমেই স্থানীয় ‘ঠাম্মা’-কে জড়িয়ে ধরলেন রচনা

সোমবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যাবে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর