নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরনিগমের ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর তথা কোঅর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় গত বুধবার। নিজেদের গাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে হেঁড়িয়া কলেজ থেকে দিঘা হয়ে কলকাতায় ফেরার পথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর মহকুমার নিমতৌড়ির কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সেই গাড়িটি। জাতীয় সড়কের ওপরেই তিস্তাদের গাড়িটিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে একটি ট্যাঙ্কার। গাড়ির পেছনেই বসেছিলেন তিস্তা। দ্রুত গতিতে আসা ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় সর্বাধিক জখম হন তিনিই। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই গাড়িতেই ছিলেন তিস্তার স্বামী ও মেয়ে। তাঁরাও গুরুতর জখম হন। সেই দুর্ঘটনার জেরেই মারা যান তিস্তা। বিজেপির অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক স্তরে চক্রান্ত করে দুর্ঘটনার আদলে তিস্তাকে খুন করেছে শাসক দল। সেই অভিযোগের মুখে এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেল রাজ্য পুলিশের ফরেন্সিক দল। রবিবার বিকালেই সেই টিম পৌঁছে গিয়েছে নিমতৌড়িতে।
তিস্তা রাজ্য বিজেপিতে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহার ঘনিষ্ঠও ছিলেন। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই তিস্তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেননি রাহুল সিনহা। ঘটনার জেরে বিজেপির পক্ষ থেকে তিনিই দাবি করেছিলেন, ‘তিস্তার মৃত্যুতে চক্রান্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনাটি পুরোটাই সাজানো।’ এর পাশাপাশি তিনি সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান। যদিও রাজ্য পুলিশের হাতেই এখনও এই ঘটনার তদন্তভার রয়েছে। সিবিআই বা সিআইডি কারোর হাতেই এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এরই মাঝে এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নিমতৌড়ির দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে বিশেষ ফরেন্সিক টিম। ওই দুর্ঘটনার পরে তিনদিন কেটে যাওয়ার পর এদিনই নমুনা সংগ্রহ ও ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখবেন ফরেন্সিক কর্তারা। প্রয়োজনে অন্যান্য জরুরি পদক্ষেপও করতে পারেন তাঁরা। ফরেন্সিক দলের পরীক্ষার পর বিজেপির তরফে কী পদক্ষেপ করা হয় সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল।