নিজস্ব প্রতিনিধি: জিপিআরএস সিস্টেম লাগানো লরিতে করে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল প্রায় এক কোটি টাকার বার্মা টিক বা বার্মার সেগুন কাঠ। সেই খবরই গোপন সূত্রে পেয়েছিলেন রাজ্যের বনদফতরের আধিকারিকেরা। এরপরেই শুরু হয় অভিযান আর তার জেরেই ১৫০০ স্কোয়্যার ফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার হল যা অবৈধ ভাবে বার্মা বা মায়ানমার থেকে এদেশের অন্য কোথাও পাচার করা হচ্ছিল। ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই লরির চালক। ধৃত ৩জনই হরিয়ানার বাসিন্দা। এদের নাম ওয়াসিম খান, মুস্তাকিম নাজির ও নাসিম আলি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে খবর আসে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ফুলবাড়ি এলাকা দিয়ে পাচার করা হবে প্রচুর পরিমান সেগুন কাঠ। খবর পেয়ে তিনি টিম নিয়ে ফুলবাড়ি এলাকায় ওত পেতে বসে থাকেন। এরপর নির্দিষ্ট নম্বরের লরিগুলি যেতেই তাদের আটক করে গাড়ি তল্লাশী চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় বনকর্মীদের। তাঁরা দেখতে পান লরিতে প্লাইবোর্ড দিয়ে আলাদা করে কন্টেনার বানানো হয়েছে। আর তাতে থরে থরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন মাপের চেরাই করা সেগুন কাঠের লগ, যার পরিমান খুব কম করেও ১৫০০ স্কোয়্যার ফুট।
এই ঘটনায় রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, ‘পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজন লরি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ১৫০০ সিএফটি বার্মা টিক পাওয়া গেছে, যার বাজার মূল্য অন্তত এক কোটি টাকা। লরি চালকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে এই লরি দুটিতে উন্নত মানের জিপিআরএস প্রযুক্তি লাগানো রয়েছে, যার মাধ্যমে পাচারকারী সারাক্ষন নজরদারি চালাতো। আমাদের প্রাথমিক অনুমান এরা আন্তর্জাতিক পাচারকারী। কাঠের পাশাপাশি লড়ি দুটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের আগামীকাল আদালতে তোলা হবে।’