এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পদ্মের পথে দুই মূর্তি, টিকিট অনিশ্চিত অপর দুইয়ের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়ই বিচিত্র রাজনীতি। কখন কোন খেলা হয়, তা আগে থেকে বলা খুব মুশকিল। এই এখন যেমন হচ্ছে বাংলার বুকে। তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে, তাপস রায়(Tapas Roy) তৃণমূলের বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। একই সঙ্গে তিনিই নাকি ২৪’র ভোটে(General Election 2024) উত্তর কলকাতা আসন থেকে পদ্মপ্রার্থী হচ্ছেন। যদিও এতদিন জল্পনা ছিল এই আসনে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন কলকাতা পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ(Sajal Ghosh)। এখন তাপসের জন্য সেই সম্ভবনা ঘিরে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আবার এটাও ঘটনা আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ইস্তফা দিতে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)। তিনিও নাকি যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা আসন থেকে পদ্মপ্রার্থী হচ্ছেন। আর এই জল্পনা যদি সত্যি হয় তাহলে ধাক্কা খেতে চলেছেন শিশির পুত্র তথা শুভেন্দু অনুজ দিব্যেন্দু অধিকারী(Dibendu Adhikari)। কেনন তিনি এখনও সেখানকার সাংসদ। খাতায়কলমে তৃণমূলের(TMC) হলেও দিন দুই আগেই তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে(BJP) যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলেই তিনি সেই দলে যোগ দেবেন। যোগ দেওয়া তো সোজা, কিন্তু ভোটে লড়াই করার টিকিট পাওয়া!

তাপস এদিন অর্থাৎ সোমবারই তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। সেই ইস্তফার জন্য তিনি মূলত কাঠগড়ায় তুলেছেন উত্তর কলকাতার দীর্ঘদিনের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে তাপসের দলত্যাগ তৃণমূলের অন্দরে বাহিরে কোনও প্রভাবই ফেলবে না। তা তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন বা দিলেন না, কংগ্রেসে যোগ দিলেন বা দিলেন না, ভোটে প্রার্থী হলেন বা হলেন না। কেননা বাংলা মমতাময়। সেই ছবি বদলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাপসের নেই। তাই ভোটের ফলাফলেও সেভাবে ছাপ পড়বে না। বরঞ্চ তাঁর নিজের রাজনীতির কেরিয়ার কার্যত শেষ হয়ে যেতে বসেছে। নিজের পায়ে তিনি নিজেই কুড়ল মারছেন। কিন্তু তিনি যদি সত্যি উত্তর কলকাতা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হন তাহলে সজলের টিকিট পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। যদিও পদ্ম নেতৃত্ব তাঁকে অন্য কোথাও থেকেও টিকিট দিতে পারে। তারপর হেরে গেলেও সজলের হাতে কাউন্সিলর পদটা থেকে যাবে। তাপসের হাতে কিন্তু কিছুই থাকবে না।

আবার একই অবস্থা দিব্যেন্দুরও। এতদিন দলের সঙ্গে বেইমানি করে তিনি পদ্মশিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। তৃণমূলকে ক্ষতবিক্ষত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এখন তীরে এসে তরী ডোবার উপক্রম হয়েছে। কেননা হুট করে ক্যানভাসে চলে এসেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। খোদ দিব্যেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী পর্যন্ত ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন, তমলুক থেকে ‘ভগবান’ই বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন। দিব্যেন্দু তো বটেই, অধিকারী পরিবারও নিশ্চিত ছিল দিব্যেন্দুই তমলুক থেকে বিজেপি প্রার্থী হবেন। কিন্তু এখন সেই ছবিটাই ঘুরে গিয়েছে। দিব্যেন্দুর আর না তৃণমূলে ফেরার মুখ আছে, না তৃণমূলে ফেরার তাঁর রাস্তা আছে। তৃণমূলও তাঁকে আর ফেরাতে আগ্রহী নয়। সেখানে তাঁকে আবারও টিকিট দেওয়ার প্রশ্ন কার্যত অবান্তর। তাহলে দিব্যেন্দু এতদিন বিজেপি পিঠ চাপড়ে আর তৃণমূলকে পিছন থেকে ছুরি মেরে পেলেনটা কী? বিজেপি তাঁকে অবশ্যই অন্য কোথাও থেকে টিকিট দিতেই পারে। কিন্তু জিতবেন কী!  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি নেতাদের জবাব দিতে হবে’, সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক  অভিষেক

দাদাগিরি! মেজাজ হারিয়ে মহকুমা শাসককে ধাক্কা রাহুল সিনহার

‘সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বানান’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

শান্তনুকে হারাতে মতুয়াদের ওপরেই আস্থা সুমিতার

দাবদাহের মধ্যে ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষীদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর