নিজস্ব প্রতিনিধি: পোষ্য ছাগলের মৃত্যুর পর সেই মৃত ছাগলের দড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল নাবালিকা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানা এলাকার বাঁধগাছা গ্রামে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। মৃত নাবালিকার নাম বৃষ্টি বাউড়ি। ১১ বছর বয়স তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে বাঁধগাছা গ্রামে বৃষ্টির প্রতিবেশীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, ঘরের ছাউনি থেকে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে বৃষ্টি। সেই সময় বাড়িতে তার বাবা মা ছিলেন না। কাজে বেরিয়েছিলেন তারা। প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি দড়ি কেটে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা ওই নাবালিকাকে নামিয়ে আনে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টি বাউড়ির। এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় রায়না থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালিকা। তবে অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রতিবেশীরা জানান, বৃষ্টি বাউড়ি তার পোষ্য ছাগলটির সঙ্গে খেলত দিনের বেশিরভাগ সময়। কয়েকদিন আগে ছাগলটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে প্রাণীটির মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন সেটিকে গ্রামের ভাগাড়ে ফেলে আসেন। তারপর থেকে খুব কান্নাকাটি করেছে বৃষ্টি।
এই ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছেন বৃষ্টির বাবা সুধন বাউড়ি। তিনি জানান, ছাগলটাকে খুব ভালবাসত মেয়ে। ওকে নিয়েই পড়ে থাকত। ক’দিন ধরে শরীর খারাপ হওয়ায় ওষুধও এনে খাইয়েছি ছাগলটিকে। মারা যাওয়ার পরে বৃষ্টি খুব কাঁদছিল। কিন্তু নিজেকে এভাবে শেষ করে দেবে ভাবতে পারিনি আমরা। এই ঘটনা নিয়ে বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবার ও প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে পোষ্যর মৃত্যুতে ভেঙে পড়ছিল মেয়েটি।
(ছবি: প্রতীকী)