এই মুহূর্তে




বাল্যবিবাহ ও স্কুলছুট রোধে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন, কন্যার ১০ বছরেই পোর্টালে উঠবে নাম




নিজস্ব প্রতিনিধি, বধর্মান: সমাজে এখনও বহু মানুষ রয়েছে যারা মাঝপথেই তাঁদের শিশুদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেন। সঠিক বয়স হওয়ার আগেই মেয়েদের বসিয়ে দেওয়া হয় বিয়ের পিঁড়িতে। তার পরই সেই অল্প বয়সেই তারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। পুতুল খেলার বয়সেই তারা মা হয়ে ওঠেন। এই সমস্ত কারণে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যায়।

এই সমস্ত ঘটনা সব থেকে বেশি দেখা যায় আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং বর্ধমান-১ ব্লক এলাকায়। তাই সেখানকার প্রশাসন কড়া ভাবে বিষয়টি দমন করতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। এই সমস্যা শিকর থেকে উপড়ে ফেলতে চায় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

এই সংক্রান্ত আলোচনায় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা একটি বৈঠক আয়োজন করেন। সেখানে  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, একটি পোর্টাল তৈরি করা হবে যেখানে ১০ বছর বয়স থেকে প্রতিটি ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত করা হবে। সেই পোর্টালে নাম থাকা প্রতিটি বাচ্চার উপর নজর রাখা হবে। এমনকি তাঁরা নিয়মিত বিদ্যালয় যাচ্ছে কী না সে বিষয়ও খোঁজ নেবেন আধিকারিকরা। যদি দেখা যায় কোনও ছাত্রী হঠাৎ বিদ্যালয় আসা বন্ধ করে দেয় তাহলে আধিকারিক বা শিক্ষক-শিক্ষিকারা তার বাড়িতে যাবেন। তাদের বাড়িতে গিয়ে স্কুলে না যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখবে তাঁরা।

এই বিষয় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি জানিয়েছেন, “ড্রপআউট এবং নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিতে কর্মশালা করা হচ্ছে। অল্প বয়সে বিয়ে হলে তার পরিণাম কী হতে পারে, সেটা বুঝিয়ে বলা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা একটি পোর্টাল তৈরি করব। তাতে ১০ বছর বয়সের নাবালিকাদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। সেটির মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও দরকার হলেই এই পোর্টালে নাম থাকা সমস্ত নাবালিকার সঙ্গে প্রয়োজনে আধিকারিকরা কথা বলবেন। এই পোর্টালেই রাখা থাকবে তাদের নাম ও ফোন নম্বর। নথিভুক্ত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা করবে আধিকারিকরা। এই পোর্টালে  অভিভাবকদের মোবাইল নম্বরও থাকবে বাচ্চাদের সঙ্গে। কোনও ছাত্রীর কাছে নিজের মোবাইল থাকলে তার নম্বরও পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার জানিয়েছেন, “নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করার জন্য আমরা কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে সক্রিয় করেছি। তারা বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। তার সুফল আমরা পাচ্ছি। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করেছে।”

এই প্রসঙ্গে অভিভাবক সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছু বাবা-মা তাঁদের কন্যাসন্তানদের পড়াশোনার থেকে বিয়ে দেওয়াকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। জেলা প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিলে নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে। পোর্টালে সমস্ত নাবালিকার নাম নথিভুক্ত থাকলে অভিভাবকরা অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার সাহস দেখাবেন না।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সরকারের ওপরে ভরসা রাখা উচিৎ ছিল : মুখ্যমন্ত্রী

“অধিকার সবার, আন্দোলন কখনও হিংসাত্মক হয় না’, দিল্লি সফরের আগে চাকরিহারাদের বড় বার্তা অভিষেকের

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি’র নজরে শাসকনেতা, ডাকা হল সিজিও কমপ্লেক্সে

নাচে গানে প্লে স্কুলের ধাঁচে পঠনপাঠন বীরভূমের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে

সাতসকালে কেঁপে উঠল টিটাগড়, ভয়াবহ বিস্ফোরণ পুর প্রধানের আবাসনে

স্বস্তির ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, সতর্কতা জারি হাওয়া অফিসের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ