নিজস্ব প্রতিনিধি: অখণ্ড বাংলা থাকবে এই দাবি করে জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা গত ২১ জুলাই দিয়েছিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। তৃণমূলের শহিদ দিবসে বলেছিলেন, উত্তরে কোনও আলাদা রাজ্য হবে না। রাজ্য একটাই। নাম পশ্চিমবঙ্গ। ওই দিন তিনি আরও বলেছিলেন, যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন ততদিন তিনি ‘দিদি’র (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গেই কাজ করবেন। পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করবেন। সেই ‘জিটিএ’কে ভাঙতে চাইছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড এবং বিনয় তামাং। তাঁদের গঠিত ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটির কালিম্পঙয়ের সভা থেকে গুরুং জানান, আগামী দু- একদিনের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হবে।
গুরুং ওই সভা থেকে গত সোমবার বলেন, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হবে। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে রাজ্যের জিটিএ (GTA) চুক্তি হয়েছিল। তবে জনমুক্তি মোর্চা এখন জিটিএ’তে নেই। দাবি, তাই জিটিএ ভাঙতে হবে। উল্লেখ্য, জিটিএ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল ভোটের মাধ্যমে।
রাজ্যের কড়া বার্তা, বঙ্গ বিভাজন বরদাস্ত করা হবে না। উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপি বারবার বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলও’র দাবি, কোচ কামতাপুর রাজ্য। বঙ্গ বিজেপির একাংশের দাবি, উত্তরবঙ্গ পৃথক রাজ্য। গুরুংদের দাবি, গোর্খাল্যান্ড। অখণ্ড বাংলার বার্তা বারবার দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য ভাগের দাবির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলার আপামর জনগণ। এবার গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটির জিটিএ ভাঙার দাবির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পাহাড়বাসী। মনে করা হচ্ছে, এরপরের কমিটির দাবি হবে, আলাদা রাজ্য। সূত্রের খবর এমনটাই। আর তাতেই উঠেছে নিন্দার ঝড়।