নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। সবকিছুতেই বিজেপি শিবির ‘নালিশ’ জানাতে ছুটে যেত তাঁর কাছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বারবার ছুটতেন পূর্বতন রাজ্যপালের কাছে। আর জগদীপ ধনখড় কথায় কথায় আক্রমণ শানাতেন রাজ্য সরকারকে (STATE GOVT)। বর্তমানে রাজ্যপাল (GOVERNOR) লা গণেশন। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। এমনকি সরগরম দেশও! এই পরিস্থিতিতে লা গণেশন জানালেন, তাঁর আস্থা রয়েছে রাজ্য পুলিশের ভূমিকাতেই।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলির আগে অভিযোগ ছিল, রাজ্যপাল বিজেপি শিবিরের হয়ে কাজ করছেন। কটাক্ষ করে বলা হত, ‘রাজ্যপাল পদ্মপাল’। তবে সেই রাজ্যপাল আর নেই বঙ্গে। আর তারপরেই বদলেছে চিত্র। বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর বিজেপি- তৃণমূল দুই শিবির পরস্পরকে দোষারোপ করছে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ অকারণে মারধর করেছে। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিছিলের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি। ইট-পাথর, বোতল, গুলি, বোমা ছোঁড়া, পুলিশকে মারধর করা, ভাঙচুর করা বাদ থাকেনি কিছুই। রীতিমত চলেছে তাণ্ডব। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির এই মিছিল এবং তাণ্ডব ও তাতে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশের ওপরেই আস্থা রাখছেন তিনি। রাজভবনে একটি অনুষ্ঠান থেকেই তিনি এই কথা বলেন। আরও বলেন, পুলিশ তো তদন্ত করছে। তদন্ততেই সবটা প্রমাণিত হবে। এর আগে ধনখড়ের বক্তব্যে সবসময় বাড়তি অক্সিজেন পেত বিজেপি। এবারে আর তা হলো না, উল্টে মুখ পুড়ল পদ্মশিবিরের। এদিকে ‘নিরপেক্ষ’ বলে রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবুজ শিবির (TMC)।