নিজস্ব প্রতিনিধি,বীরভূম ও হাবড়া: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জেলা পুলিশের তৎপরতায় ফের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অব্যাহত। রবিবার মধ্যরাতে কাঁকরতলা(Kakratala) পুলিশের তৎপরতায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুস্কৃতি ধরা পড়ে। জানা গেছে,কাঁকরতলা থানার ওসি সামিম খান গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সন্দেহজনক এলাকার মধ্যে পুলিশি টহল বাড়িয়ে তোলেন।সেই মোতাবেক পুলিশ টহল দেওয়ার সময় স্থানীয় থানার কদমডাঙ্গা(Kadamdanga) থেকে বাবুইজোড় যাওয়ার পাকা রাস্তায় গোলোন্দরা ব্রিজের কাছে এক ব্যাক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে।পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তল্লাশি চালিয়ে তার কাছথেকে এক রাউন্ড গুলি সহ একটি দেশী পাইপগান উদ্ধার হয়।ধৃত ব্যক্তির পরিচয়ে জানা যায় কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামের শেখ শাহাজাহান সে। সোমবার ধৃতকে কাঁকরতলা থানার পক্ষ থেকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই চক্রে আর কারা যুক্ত আছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে ডাকাতি করতে এসে হাবড়াতে ধরা পরল পাঁচজনের একটি ডাকাত দল। তারা সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ফলে ডাকাতি রুখে দিয়ে, বড় সাফল্য মিললো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে রবিবার রাতেই হাবরা থানার কাছে খবর আসে, হাবরা (Habra)স্টেশন মোড় এলাকায় একটি সোনার দোকানের পেছনে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়েছে।
খবর পাওয়া মাত্রই হাবড়া থানার পক্ষ থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করে, ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া ওই দলটিকে ধরা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় গ্যাস কাটার, গ্যাস সিলিন্ডার ও অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ শাবল ও লোহার রড। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পাঁচজনের বাড়ি রাজস্থানের(Rajasthan) বানসারা জেলায়।
ধৃতদের নাম সুরজ চারপোটা, হরিশ চারপোটা, হরিশ নিনামা, বিকাশ দামর, নিতীশ চারপোটা। এদিন অভিযুক্ত সকলকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়।এর আগে এলাকায় যে সকল চুরির ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গেও এরা কোন ভাবে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে পাঁচজনের মধ্যে একজন, ঘটনার দুদিন আগে এসে ঘটনাস্থল দেখে রেইকি করে যায়। রাজস্থান থেকে বাংলায় এসে এ ধরনের কান্ড ঘটানোয় রীতিমত অবাক হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দা সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও।