নিজস্ব প্রতিনিধি: টেট (TET) নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের (HIGH COURT) ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই-ই। উল্লেখ্য, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাঁর নির্দেশ, সিবিআই সিট তদন্তের। সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা।
এই মামলার শুনানি আগেই হয়েছিল। তবে রায়দান স্থগিত ছিল। শুক্রবার রায় দান করল ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে এই মামলার রায়দানে ৮৫ পাতার নির্দেশনামা দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ, টেট মামলার তদন্ত করবে সিবিআই-ই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের সিদ্ধান্ততেও সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। চাকরি যাওয়া ২৬৯ জনকে চাকরি ফেরানো হবে না জানিয়ে আদালতের রায়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুনর্বহাল নয়। নির্দেশ, ওই ২৬৯ জন দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না।
সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, পর্ষদের নথির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে, আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত । ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মামলা পর্যবেক্ষণ করবে সিঙ্গেল বেঞ্চ, নির্দিষ্ট সময় পরপর রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গেল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ- সিবিআই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে, টেট ফেল করেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন, সিঙ্গেল বেঞ্চের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য, ওএমআর শিট- ব্রেকআপ মার্কস সহ একাধিক নথি পেশ করেনি পর্ষদ, বারবার নথি চেয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চ কোনও ভুল করেনি, কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।