নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (HC)। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিল আদালত। বিচারপতির রায়, আগামী ২১ অক্টোবর থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি হয়েছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দায়ের হয়েছিল জোড়া মামলা। বিএড ডিগ্রি রয়েছে যাঁদের তাঁরা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতার পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। ডিএলএড করেছেন যাঁরা, তাঁরা আবেদন করতে পারেন শধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য। ডিএড করেছেন এমন চাকরি প্রার্থীরা এই মামলা করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এই পদে আবেদন করলে ডিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সুযোগ কমে যাবে। আবেদন ছিল, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যেন প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য পরীক্ষা দিতে না পারে।
বিচারপতি রায় দিতে গিয়ে এদিন বলেন, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রাথমিক পদে শিক্ষকতা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই নিয়ে কোনও সংশোধনী প্রকাশ করতে পারবে কি না, তা জানার। খানিক বিরক্তি প্রকাশ করেই তিনি বলেন, মামলার পর মামলা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকরি হচ্ছে কোথায়? নিয়োগ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এনসিটিই জারি করেছিল সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি। সেখানে বলা হয়েছিল, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে শিক্ষকতা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই বিজ্ঞপ্তির ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। রাজস্থান হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল এনসিটিই। সেই মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন।