নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) বাড়ল আরও একটি CBI তদন্ত। পুলিশি হেফজতে থাকাকালীন এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর(Death in Police Custody) ঘটনায় নদিয়া(Nadia) জেলার মুরুটিয়া থানার(Murutia PS) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। এই রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার, স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি, পুরকর্মী নিয়োগের দুর্নীতির মতো একাধিক ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। এমনকি ওই তালিকায় আছে নদিয়া জেলারই হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তও। এবার সেই তালিকায় মুরুটিয়া থানার ঘটনাও ঢুকে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল মরুটিয়া থানায়? নদিয়া জেলার তেহট্ট মহকুমার করিমপুর-২ ব্লকের একাংশ নিয়ে মুরুটিয়া থানা তৈরি করা হয়েছে। এটি এখন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অন্তর্গত। গত ২৬ আগস্ট গভীর রাতে মুরুটিয়া থানার পুলিশ ১০ বছর আগের মাদক মামলায় অভিযুক্ত মোহন মণ্ডলের ভাই শওকত মণ্ডলকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। তার পরের দিন ভোরে একটি বাঁশ বাগানে শওকতের দেহ পাওয়া যায়। ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দ্বারস্থ হন দাদা মোহন। কিন্তু লাভ হয়নি। পরে পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মৃত সওকতের স্ত্রী মঞ্জুরা বিবি। সেদিন রাতেই মৃতের দাদা মোহন মণ্ডল-সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওপর একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। যার প্রেক্ষিতে আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলাতেই CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই মামলা এর আগে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেই সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। শেষে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ মুরুটিয়া থানার এই ঘটনায় CBI তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে মামলার নথি CBI-য়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরে ২ মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।