নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: পুজোর মরশুমে বিষাদের সুর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কয়েকটি জেলায় নবমী থেকে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস জারি হয়েছিল। আবহাওয়া দপ্তরের সেই কথাটা সত্যি করে নবমী তিথির বিকেল চারটা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয় ঝাড়গ্রাম(Jhargaram) জেলা জুড়ে। ফলে নবমী রাতে পুজো দেখতে বের হওয়া দর্শনার্থী দের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। বেশ কিছুক্ষণ ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। বৃষ্টির কারণে কেউ ঠাঁই নেন দোকানে, আবার কেউ ঠাঁই নিয়েছেন মণ্ডপে।রাজ্যে নিম্নচাপের ভ্রকুটি।
নিম্নচাপের জেরে কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় বৃষ্টি নবমীর দিন। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় নিয়ে দর্শনার্থীরা কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন। অর্থাৎ পুজো শেষ হবার আগে শেষ দিন । সেই দিনটি চেটেপুটে নিতে চাইছে বাঙালি। এদিকে আজ মহানবমী(Maha Nabami)। তিথি মেনে আজই বিভিন্ন জায়গায় দেবী দুর্গার সামনে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী বিশেষ দিনে ছোট কন্যাকে দেবী রূপে পুজিত করা হয়।
কুমারী পূজা উপলক্ষে ভাটপাড়ায়(Bhatpara) এক মহাসমারোহ সমাগমের আয়োজন করা হয়েছিল। এলাকার ১০০৮ জন কন্যাকে দেবীর রূপে পূজিত করলেন তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিবহন সদস্য প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। কন্যা পুজো উপলক্ষে ভাটপাড়ার ৬ নম্বর গলিতে ছিল উৎসবের আমেজ। শুধু তাই নয় ,দেবীর রুপে তাদের পুজো করার পর তাদের ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রিয়াংসু পান্ডে বলেন, দেবী রূপে আমরা কন্যা সন্তানকেই পুজো করে থাকি। তাই আজ নবরাত্রি চলাকালীনই এই কন্যা পুজোর আয়োজন করেছিলাম।