নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত ভোট(Panchayat Election 2023) চলাকালীন হিংসার ঘটনায় রাজ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও সেই হিসাব মানতে নারাজ রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। এবার তাই কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই হলফনামা চাইল পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক কতজন মারা গিয়েছে সেই সংখ্যাটা জানাতে। সেই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে মৃতদের জন্য যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে তা এখনও পর্যন্ত ঠিক কটি পরিবার পেয়েছে। পাশাপাশি ওই নির্বাচনে যারা গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল তাঁরা কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ(Compensation) পাবে না এই তথ্য রিপোর্ট আকারে পেশ করতে হবে রাজ্যকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রিপোর্ট পেশ ও হলফনামা(Affidavit) দাখিল দুটোই করতে হবে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা সেদিনই মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এদিন অর্থাৎ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন যে পঞ্চায়েত ভোটের পর দু’মাস কেটে গেলেও সেই নির্বাচনে হাতাহতরা রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো ক্ষতিপূরণ পায়নি। কেন তাঁদের তা দেওয়া হচ্ছে না সেটা জানতে চেয়েই তিনি মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে মৃতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। বলা হয়েছে মৃতদের পরিবারের একজনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পরিবারকে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু কতজন ওই ক্ষতিপূরণ ও চাকরি পাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। কেননা প্রতিশ্রুতির পর মাত্র ১৭ জন সেই চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু বাকিদের কী হল?
মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে হিংসার ঘটনায় মৃত এবং আহতদের পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? এ ব্যাপারে আদালতকে হলফনামা দিয়ে জবাব দিতে রাজ্যকে। যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে মারা গিয়েছেন, তাঁদের নাম জমা দিতে হবে। কোন কোন মৃতের পরিবারের সদস্য হোম গার্ডের চাকরি পেয়েছেন, কাদেরই বা প্রতিশ্রুতি মতো ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে, তার সমস্ত তথ্য হলফনামার আকারে দিতে হবে আদালতকে।’