নিজস্ব প্রতিনিধি: অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ হওয়ায় চিন্তায় পড়েছিলেন গৃহবধূ। গর্ভপাত করাতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক হাতুড়ে ডাক্তারের। সেই হাতুড়ের কাছে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু হল ওই বধূর। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সুন্দেপুকুর এলাকায়। গৃহবধূর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে অসন্তোষ জমাট বাঁধে এলাকায়। এরপরই দোষীদের শাস্তির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে ২৫ বছর বয়সী ওই মৃত গৃহবধূর বাড়ি বাদুড়িয়ার গোখনা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বধূ চার মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁর স্বামী তামিলনাড়ুতে থাকেন কর্মসূত্রে। তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি ফের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ায় গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যে যোগাযোগ হয় এক মহিলার সঙ্গে। সেই মহিলাই সুন্দেপুকুর এলাকার এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান ওই বধূকে।
ওই হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে রবিবার সকালে গর্ভপাত করানোর পর গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন গৃহবধূ। কিছুক্ষণের মধ্যেই চেম্বারেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাঁর আত্মীয় পরিজনরা। পলাতক দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, হাতুড়ে ডাক্তারের ওই চেম্বারে দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি ভাবে গর্ভপাত করানো হত। কোনও সরকারি ছাড়পত্র নেই ওই চেম্বারের।
ঘটনার পর থেকে পলাতক চেম্বারের মালিক। পাশাপাশি খোঁজ নেই গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে ওই হাতুড়ের কাছে যাওয়া সেই মহিলারও। হাতুড়ে ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চেম্বারের সঙ্গে বাকি কারা যুক্ত সেবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তদন্তকারীরা।