নিজস্ব প্রতিনিধি: স্ত্রী(Wife) হোক বা বউ, নিজের সম্পত্তি। যা খুশি করার ছাড়পত্র। স্ত্রীর শরীরের প্রতিটা ইঞ্চি স্বামীর(Husband) সম্পত্তি। অন্তত এমনটাই মনে করেন দেশের ৯০ ভাগ পুরুষ। কেউ স্বীকার করেন, কেউ বা করেন না। নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার সেই মানসিকতাই মালদার(Malda) বুকে ঘটিয়ে দিল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বউ পর পুরুষে মজেছে, বিছানায় শুচ্ছে, ফূর্তি করছে – নেহাত এই সন্দেহে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ৪টি কাঁচা ও ৪টি লাল লঙ্কা গুঁজে দিলেন স্বামী। শুধু গুঁজে দেওয়াই নয়, সেই সব লঙ্কা চাপ দিয়ে ফাটিয়ে দিয়েছেন সেই বীর পুরুষ। তাতেও মন ভরেনি। নিজের পুরুষাঙ্গে কন্ডোম পরিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে জোর করিয়ে তা প্রবেশ করিয়েছেন যাতে লঙ্কার ঝাল স্ত্রীর গোপনাঙ্গে মিশে গিয়ে জ্বালা করে। হয়েওছে তাই। নির্যাতিতা সেই মহিলা এখন লঙ্কার জ্বালা নিয়ে ছটফট করছেন হাসপাতালের বিছানায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মালদা জেলার সদর মহকুমার মানিকচক(Manikchawk) ব্লকের নাজিরপুর বেগমগঞ্জ এলাকায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সীতেশ মণ্ডল। ১৬ বছর আগে তার বিয়ে হয় নির্যাতিতার সঙ্গে। তাদের ১২ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালাত সীতেশ। এমনকি তার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত এমন সন্দেহ করত হরবখত। আর স্রেফ সেই সন্দেহের বশেই তাঁকে ভীষণ মারধর করত। ইদানীং সীতেশ সেভাবে কাজও করত না। ফলে পরিবারে আর্থিক সমস্যা ছিল। তার ওপর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করে ইদানীং স্ত্রীর ওপর অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল। শনিবার রাতে স্ত্রীকে এই ইস্যুতেই ব্যাপক মারধর করে সীতেশ। এরপর রান্নাঘর থেকে লঙ্কার গুঁড়ো নিয়ে এসে স্ত্রীর গোপানাঙ্গে গুঁজে দেয়। তারপর আনাজের ঝুরি থেকে লঙ্কা এনে জোর করে গুঁজে দেয়। পরিশেষ কার্যত স্বামীত্বের অধিকারস্বরূপ বৈবাহিক ধর্ষণ যার শাস্তি অন্তত ভারতীয় পুরুষদের পেতে হয় না।
ঘটনার পর সীতেশের স্ত্রী চিৎকার লরে কাঁদতে থাকলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সেই সুযোগেই বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় সীতেশ। প্রতিবেশীরা রাতেই সীতেশের স্ত্রীকে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। এদিন সকালে সেখানেই ওই নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ ওয়াশ করে দেন চিকিৎসক। তার জেরে কিছুটা হলেও জ্বলুনি কমে ওই মহিলার। এরপর মানিকচক থানায় গিয়ে স্বামীর কুকীর্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে ফের হাসপাতালে এসে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই বিছানায় শুয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামী কোন কারণ ছাড়াই আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। এতদিন শুধুমাত্র তিন ছেলের মুখ দেখে অত্যাচার সহ্য করে আছি। আর পারছি না।’