নিজস্ব প্রতিনিধি: তপনের পরে হেমতাবাদ(Hemtabad)। শনিবার দুপুরে জোড়া সভা সেরে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন তাঁর প্রথম সভা ছিল উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে। সেই সভা সেরে মুখ্যমন্ত্রী চলে আসেন দ্বিতীয় সভাস্থলে যা উত্তরবঙ্গেরই উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে ছিল। সেখানে তিনি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানীর সমর্থনে সভা করেন। এই দুই সভা থেকেই তিনি এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরের বুকে NIA’র অভিযান নিয়ে সরব হন। তবে লক্ষ্যণীয় ভাবে তিনি হেমতাবাদের সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের দিকেও সতর্কবার্তাও ছুঁড়ে দেন। সাফ জানান, ‘মনে রাখবেন, বিজেপি(BJP) সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। কিন্তু যে আধিকারিকেরা এটা করছেন, তাঁদের বলছি, আমরা সব নজরে রাখছি। ভুলে যাচ্ছি না। আমি ভয় দেখাচ্ছি না। আরশোলা কামড়ালেও মানবাধিকার কমিশন আসছে।’
এদিন মমতা হেমতাবাদের সভা থেকে বলেন, ‘NIA আর CBI, বিজেপির ভাই ভাই। Income Tax আর ED বিজেপির ফান্ডিং বক্স। ওরা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে টাকা তুলছে আর বিজেপির ফান্ডে দিয়ে দিচ্ছে। চকলেট বোম ফাটালেও গ্রেফতার করছে। আমাদের হারানোর জন্য ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজেপি যদি জয় নিয়ে এতই নিশ্চিত, তা হলে গ্রেফতার করতে হচ্ছে কেন? NIA-কে পাঠাতে হচ্ছে কেন? বিজেপির যত রাগ শুধু তৃণমূলের উপরে। সিপিএম তো সবচেয়ে বড় চোরের দল। ৩৪ বছর ধরে চুরি করেছে। ওদের একটা নেতাকেও গ্রেফাতর করেনি। রাজ্যের অফিসারদের পরিবর্তন হবে, অত্যাচারী ED-CBI-দের কেন পরিবর্তন হবে না? যত দোষ রাজ্যের বেলায়? ক্ষমতা থাকলে লড়াই করে জেত। আমার বুথ কর্মী, এজেন্টদের গ্রেফতার করবে না। আর আমাদের কর্মীদের বলছি, বিজেপি ৩টে প্ল্যান করেছে ভোটে জেতার। প্রথম প্ল্যান, যাঁরা পাহাড়া দেবে, তাঁদের টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। দুই, কিছু খাওয়ানোর নাম করে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া। তিন, লোডশেডিং করে দিয়ে বাক্স দখল করা। চিপ ঢুকিয়ে দেওয়া। এমন কাউকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য রাখবেন না, যাঁরা বিশ্বস্ত নয়। প্রয়োজনে আবার মা-বোনেরা পাহারায় থাকবেন। বুথে বসবেন। কারণ তাঁরা সবাইকে চেনেন।’