নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে সপ্তম দুয়ারে সরকার(Duare Sarkar) কর্মসূচী। এবারে এই কর্মসূচী চলছে দুটি পর্যায়ে। প্রথম পর্যায় চলেছে ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ অবধি। দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হচ্ছে ১৮ তারিখ থেকে এবং তা চলবে ৩০ তারিখ অবধি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন জমা পড়েছে ৮০ লক্ষ ৭৯ হাজার। সব থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির(Social Security Schemes) জন্যই। সেখানে আবেদনের সংখ্যা প্রায় ২৬ লক্ষ। ঐক্যশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১২ লক্ষ ৩৮ হাজার। বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার। পাশাপাশি এবারের শিবিরে বাংলার ১২ লক্ষ ১৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক(Migrant Workers) তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। কার্যত প্রথম পর্যায়ের আবেদনপত্র গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই ২৫ লক্ষ পরিষেবা প্রদান রাজ্য সরকারের তরফে নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা। বাকিদের পরিষেবা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরের আগেকার ৪০টি প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা নেওয়ার পাশাপাশি আরও ৪টি নতুন প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে আমজনতার সুবিধার জন্য এবারে স্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ, এই দুই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। মোট শিবিরের সংখ্যা থাকছে প্রায় ১ লক্ষ। এই শিবিরগুলির মধ্যে ৩৬ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ এবং বাকি ৬৪ শতাংশ স্থায়ী। পরিষেবা প্রদানের কাজ সফল ভাবে করার জন্য রাজ্যস্তরীয় সম্পাদনকারী দল তৈরি করা হয়েছে। গ্রাহকেরা http://ds.wb.gov.in এই ওয়েবসাইটে নিকটবর্তী শিবিরের খোঁজ পাবেন। ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরে কন্ট্রোলরুম তৈরি করা হয়েছে। শিবির তদারকির জন্য জেলা এবং মহকুমা স্তরে ৪১ জন আমলাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। উপযুক্ত আবেদনকারীদের সকল পরিষেবা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যেই প্রদান করা হবে। যে সকল আবেদনপত্রের অনুমোদন করা হবে না তার কারণও বলে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল— 1800 – 345- 0117/ 033 – 22140152।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে কোভিডকালের মধ্যেই ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৮৪টি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই সব শিবিরে প্রায় ১০ কোটি রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছেন। সাত কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রতি বারের মতো এ বারও খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, কৃষকবন্ধু, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ছাড়াও আরও নানা প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন উপভোক্তারা। যে চারটি নতুন প্রকল্প এবারে যোগ করা হয়েছে সেগুলি হল— বার্ধক্য ভাতা, পরিযায়ী শ্রমিকের নথিভুক্তিকরণ, উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্তিকরণ এবং হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের তালিকাভুক্তকরণ।