নিজস্ব প্রতিনিধি: বুর্জ খলিফা দেখতে এসে বিপাকে অগণিত দর্শনার্থী। বুর্জ খলিফা দেখবে বলে জলপাইগুড়ি শহর থেকে ১৫ বা ২০ কিলোমিটার দূর থেকে টোটো রিক্সা রিজার্ভ করে জলপাইগুড়িতে আসেন প্রচুর দর্শনার্থী। অভিযোগ পুলিশ সেই টোটো গুলিকে পুজো প্যান্ডেল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আটকে দিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। আইন না মানার অভিযোগে বাজেয়াপ্ত করা হয় টোটো রিক্সা গুলিকে। ফলে পুজো না দেখে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন প্রচুর দর্শনার্থী।
গত বুধবার এই কালী পুজোর উদ্বোধন হয়। আর উদ্বোধনের পর থেকে হাজারে হাজারে মানুষের ঢল নামে জলপাইগুড়ি গোমস্ত পাড়ায়। যতদিন যাচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে এই পুজো প্যান্ডেলে। মানুষের ঢল সামলাতে কাল ঘাম ছুটছে পুলিশের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয় বিকেল ৪ টার পর থেকে জলপাইগুড়ি শহরে টোটো চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। অভিযোগ প্রশাসনের এই ঘোষনা গ্রামে গঞ্জে পৌছায়নি। ফলে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, প্রভৃতি বিভিন্ন ব্লক সহ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ বুর্জ খলিফা দেখবে বলে শুক্রবার রাতে টোটো রিজার্ভ করে জলপাইগুড়ি শহরে আসে।
অপরদিকে জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে টোটো গুলিকে শহরে ঢোকার মুখে আটকে দেওয়া হয়। যাত্রীদের নামিয়ে টোটো বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলের পর শহরে টোটো প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ঘোষনা গ্রামে গঞ্জে না পৌছানোয় প্রতিমা দর্শন এবং বাড়ি ফেরা নিয়ে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনায় মিনা মোদক, শানু দত্ত, পূজা সাহা, শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী নামে দর্শনার্থীরা বলেন আমরা বুর্জ খলিফা সহ জলপাইগুড়ি শহরের অন্যান্য কালী পুজো মন্ডপ গুলি দেখব বলে অনেক দূর থেকে টোটো রিজার্ভ করে এসেছিলাম। আমরা জানতাম না শহরে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ। এখন পুজো দেখাতে হল না উল্টে এত রাতে ছোট বাচ্চা নিয়ে কিভাবে বাড়ি ফিরব তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেলাম।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিকের ওসি বাপ্পা সাহা বলেন হাইওয়েতে টোটো চলাচল করা আগে থেকেই নিষিদ্ধ। তার উপর পুজো উপলক্ষ্যে বিকেলের পর থেকে শহরে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ তা নিয়ে আমরা মাইকিং করেছি। তবুও প্রচুর টোটো রিক্সা ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, ধাপগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা থেকে শহরে এসে ঢোকার চেষ্টা করছে। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। তাই আমরা যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে টোটো বাজেয়াপ্ত করছি।