নিজস্ব প্রতিনিধি,জলপাইগুড়ি ও গঙ্গারামপুর : শনিবার সকাল থেকেই ধুপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রথমে ধুপগুড়ির সাঁকোয়াছড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ফোনিরমাঠ সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আলোচনা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে বানারহাট ও দুরামারিতে প্রচার করতে যান তিনি। লোকসভা ভোটের দামামা ইতিমধ্যেই কিন্তু বেঁচে গিয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির যেমন এখন অবধি প্রার্থী নির্বাচন করা না হলেও তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন করার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ধুপগুড়ির বিধায়ক তথা লোকসভা ভোটের তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়(Nirmal Chandra Roy)। ভোটের দিন কোন ঘোষণার দিকে না তাকিয়ে রীতি মধ্যেই তিনি প্রচারে নেমে ঝড় তুলে দিয়েছেন জলপাইগুড়িতে।
এদিকে, নির্বাচনের দিন ঘোষিত হতে না হতেই অশান্তির খবর।বিজেপি করায় এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি কর্মী।ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়(MLA Satyendranath Roy)।খোঁজ নেন দলীয় কর্মীরা।ঘটনায় উভয় পক্ষের তরফে গঙ্গারামপুর থানায়(Gangarampur P.S.) লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গেছে, আহত ব্যক্তির নাম জয়দীপ দাস (৪০) বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ৩/২ বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটন দাসপাড়া এলাকায়।পেশায় গাড়িচালক।স্থানীয় সূত্রে খবর ,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাটন ১৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আক্রান্ত জয়দীপ দাসের ভাই বউ মিতালি দাস।
সেই থেকেই এলাকার তৃণমূল কর্মী তরুণ পাল সহ অন্যান্যদের সাথে ঝামেলা লেগে থাকত বলে অভিযোগ। এদিন অক্ষত ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তরুণ পাল সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে বিজেপি কর্মী জয়দীপ দাস প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ।ঘটনায় মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি।খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান গঙ্গারামপুরের(Gangarampur) বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়।তিনি দলীয় কর্মীর খোঁজ নেন।এদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শংকর সরকার।