নিজস্ব প্রতিনিধি: দাবির পাল্টা কটাক্ষ। শনিবার রাজ্যপাল(Governor of Bengal) দাবি করেছিলেন, ‘মধ্যরাতে কী হয় দেখুন’। দেখা গেল তিনি দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন। একটি কেন্দ্র সরকারকে এবং একটি রাজ্য সরকারকে। সেই দুটি চিঠি Confidential বলে তাতে কী লেখা আছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে এদিন সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম মহকুমা শহর তথা রাজ্যের রেলশহর হিসাবে পরিচিত খড়গপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) বলেছেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর যেটা দায়িত্ব সেটা পালন করছেন। যারা ভয় পেয়ে যাচ্ছে, যারা চুরি করছে, তারা গালাগালি দিচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে-সমাজ চলবে। সংবিধানের আওতায় কাজ করছিলেন কি না, সেটাই বিচার্য বিষয়।’ আর দিলীপের এই দাবির পরে পরেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose) ও দিলীপ দুইকেই তৃণমূলের তরফে তীব্র কটাক্ষ হেনেছেন তৃণমূল(TMC) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার(Joy Prakash Majumdar)।
জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপালের এই নাটকের দরকারটা কী? রাজ্যপালের পদটা তো শান্তিগোপালের পদ নয়, বা খলনায়কের অভিনয় করার জায়গা নয়। তার একটা গরিমা আছে। এটা রাজ্যপালের নাটক, আর সেটা হচ্ছে বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে। সেটা আরও প্রমাণ করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, যে এর মধ্যে একটা চিত্রনাট্য আছে, যেখানে খলনায়কের ভূমিকা রাজ্যপালকে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি খুব ক্রেডিটের সঙ্গে সেই ভূমিকায় অভিনয় করছেন।’ প্রসঙ্গত, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই গতকাল মধ্যরাতে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তার আগে শুক্রবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকের পর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল বোসকে ‘মহম্মদ বিন তুঘলক’ বলে কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে পালটা মুখ খোলেন রাজ্যপাল বোস। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে শনিবার রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যা করেছি তাতে খুশি, মধ্যরাত অবধি অপেক্ষা করুন, বুঝতে পারবেন পদক্ষেপ কাকে বলে।’
রাজ্যপালের সেই মন্তব্যেকে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে কারও নাম না করে পালটা প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সামাজিক মাধ্যমে ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন, অ্যাকশন দেখুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে! নাগরিকরা নিজেদের খেয়াল রাখুন। পুরাণ অনুসারে রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছি।’ তারপরেই পূর্ব ঘোষিত সময়ে ২টি চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল। যার মধ্যে একটি নবান্নের উদ্দেশে, অপরটি দিল্লিতে। যদিও সেই চিঠিতে কী রয়েছে সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।