নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: দৈনন্দিন প্রায় শতাধিক মানুষকে আর অভুক্ত দিনযাপন করতে হবে না। সৌজন্যে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। কারন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের (Jhargram District Police)উদ্যোগে, তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে হোমস্টে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট মালিক ও জেলার ক্যাটারিংয়ের কর্ণধাররা। মূলত বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান বা পর্যটকদের জন্য তৈরি খাবারের উৎবৃত্ত অংশকে নষ্ট না করে দুঃস্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এই অভিনব উদ্যোগ শুরু করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। নিঃসন্দেহে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ।শহরের ১০ টি ক্যাটারিং সংস্থা উৎবৃত্ত খাবার দিয়ে সহযোগিতা করবে।
পাশপাশি ছোট-বড় ৫৮ টি হোটেল ও রেস্তোরাঁও খাবার তুলে দেবে। গোটা কাজটা তত্ত্বাবধান করবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। ঝাড়গ্রাম থানা ও সাঁকরাইল থানার ৩০ জন পুলিস কর্মী। তারা পুলিশের অন্যান্য ডিউটি করার পাশাপাশি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। তারাই নির্দিষ্ট জায়গার খাবার সংগ্রহ করে কমবেশি ১০০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে সেই খাবার তুলে দেবেন। তবে নির্দিষ্ট কোনও জায়গা থেকে খাবার বিতরন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত দুঃস্থ পরিবার এবং ভবঘুরেরা উপকৃত হবে।
আজ ঝাড়গ্রামের(Jhargram) রবীন্দ্র পার্কে সহায় প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের সূচনা করেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্রনাথ মাহাত, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, সভাধিপতি, পৌরমাতা সহ বিশিষ্ট জনরা। পাশাপশি এই অনুষ্ঠানেই সাধারণ মানুষের হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়া মোট ১৮০ টি মোবাইল ফোন(Mobile Phone) যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, সেই মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয় মোবাইলের মালিকদের হাতে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গোপীবল্লভপুর এর বিধায়ক ডাঃখগেন্দ্র নাথ মাহাত সহ ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে জঙ্গলমহলের পুলিশ দু:স্থ ছেলেমেয়েদের হাতে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং আগামী দিনের খেলোয়ার তৈরি করতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলাধুলার সরঞ্জাম বিতরণ করেছিল। শীতকালে শীতবস্ত্র প্রদানের পাশাপাশি অন্যান্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিয়ে জঙ্গলমহলে পুলিশ এই বার্তায় দিয়েছিল যে তারা সাধারণ মানুষের বন্ধু। রবিবার সেই কর্মকান্ডে সংযোজন হল নতুন একটি উদ্যোগ।