নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী নেতা রাজারামের নামে হুলিয়া জারি করল জামশেদপুর আদালত । রাজারামের বাড়িতে নোটিশ দিল ঝাড়খন্ড পুলিশ(Jharkhand Police) । আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী নেতা কীভাবে ফেরার ধন্দে পুলিশ। ঝাড়খন্ডের পটমদা থানার পুলিশ বাঁকুড়ার রানীবাঁধ থানার মিঠাম গ্রামে রাজারামের বাড়িতে গিয়ে সেই হুলিয়া নোটিশ সেঁটে আসে । আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক ।
নিয়ম অনুযায়ী কোন অভিযুক্ত ব্যাক্তি ফেরার থাকলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে হুলিয়া জারি করে আদালত । কিন্তু আত্মসমর্পনকারী কোনো অভিযুক্তর নামে এভাবে হুলিয়া জারি হওয়া বিরল ঘটনা । এ রাজ্যে আত্মসমর্পনকারী মাওবাদীদের(Maoist) মধ্যে এই প্রথম কোনো প্রাক্তন মাওবাদীর নামে হুলিয়া জারির ঘটনা ঘটল । রাজ্যে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মস্মর্পণ করেছিলেন মাওবাদী গেরিলা নেতা রাজারাম সোরেন ও তাঁর স্ত্রী মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যা জাগরী বাস্কে(Jagori Baskey) ।
আত্মসমর্পণের ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী পরবর্তীতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল হোমগার্ড পদে চাকরী পান রাজারাম । বাঁকুড়া সংলগ্ন একটি জেলায় তিনি কর্মরত । সেখানেই তিনি তাঁর স্ত্রী জাগরী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন । হুলিয়ার নোটিশ অনুযায়ী জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজারামকে জামশেদপুর আদালতে(Jamshedpur Court) হাজিরা দিতে হবে । নতুন করে রাজারামের নামে জামশেদপুর আদালত হুলিয়া জারি করায় রীতিমত বিব্রত রাজারামের পরিবারের লোকজন । বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি টেলিফোনে জানিয়েছেন, “বিষয়টি তারা জেনেছেন । পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য উচ্চস্তরে জানানোর পাশাপাশি আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে”।২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর পুলিশের সহায়তায় সরাসরি মহাকরণে সস্ত্রীক গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেন রাজারাম ।