এই মুহূর্তে

মমতার সভাতেই কী জিতেন্দ্র’র তৃণমূলে কামব্যাক, ছড়াল জল্পনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩ দিনের জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবারে তাঁর সফরে রয়েছে দুই বর্ধমান। সোমবার তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমান টাউনের পাশে থাকা গোদা এলাকায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর আসানসোলে(Asansol) রয়েছে তাঁর কর্মীসভা। আর সেই সভার আগে জেলাজুড়ে তীব্র জল্পনা ছড়াল আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা জেলারই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে(Jitendra Tiwari) ঘিরে। জল্পনা ছড়িয়েছে মমতার উপস্থিতিতেই এদিন তাঁর সভা থেকেই জিতেন্দ্রের সস্ত্রীক তৃণমূলে(TMC) কামব্যাক হতে চলেছে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল বা জিতেন্দ্র’র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জোর গলায় কেউই বলছেন না যে জিতেন্দ্র তৃণমূলে ফিরছেন না।

এদিন আসানসোল শহরের পোলো মাঠের স্টেডিয়ামে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীসভা। দুপুর ২টো নাগাদ সেই সভা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল রাতেই বর্ধমান থেকে সড়ক পথে দূর্গাপুরে চলে এসেছেন। এদিন সকালে তিনি সেখান থেকেই সড়ক পথে আসানসোল যাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। চার দিক ঘেরা আসানসোল স্টেডিয়ামে এদিন মমতার সভার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষ যাতে বসতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টাঙানো হয়েছে তিনটি ধাতব হ্যাঙার। সভায় আসা মানুষদের কথা ভেবে সভাস্থলের অদূরে করা হয়েছে ৩০টি অস্থায়ী শৌচাগার। পর্যাপ্ত পানীয়জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে আসার সব রাস্তা মেরামত করেছে আসানসোল রেল ডিভিশন, পূর্ত দফতর ও পুরনিগম। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কড়া বন্দোবস্ত করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। নজরদারির জন্য প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরা গোটা এলাকায় লাগানো হয়েছে। সভার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মীকে। একাধিক আইপিএস অফিসার এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা থাকবেন সভাস্থলে।

মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে দুর্গাপুর থেকে আসানসোলের সভায় আসবেন বলে তৃণমূল ও পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে। তিনি যে রাস্তা দিয়ে সভায় আসবেন, সেই সব জায়গায় দলের তরফে পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক, জিটি রোড-সহ বিভিন্ন রাস্তায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে গাড়ি চলাচল কোথাও সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আসার আধ ঘণ্টা আগে থেকে রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হবে। মমতা যত ক্ষণ স্টেডিয়ামে থাকবেন, তত ক্ষণ শুধুমাত্র বার্নপুর রোডের কিছুটা অংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (সদর) অংশুমান সাহা সোমবার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা করা হয়েছে।’

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সভামঞ্চে মমতার সঙ্গে থাকার কথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র ও বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, ভি শিবদাসন দাসু, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলার কয়েক জন নেতা ও জনপ্রতিনিধির। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের এই সভায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় খনি শ্রমিকদের ভিড় উপচে পড়তে চলেছে। খনি অঞ্চলে এসে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে ইসিএলের শ্রমিকরা।

কিন্তু এইসব কিছুকে শেষ মুহুর্তে ছাপিয়ে গিয়েছে জিতেন্দ্র’র তৃণমূলে কামব্যাকের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জিতেন্দ্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে(BJP) গিয়েছিলেন। গেরুয়া শিবির থেকে তাঁকে পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হলেও তিনি জিততে পারেননি। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম থেকেই বেসুরো হয়েছেন জিতেন্দ্র। বেসুরো হয়েছেন তাঁর স্ত্রী তথা আসানসল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারিও। এই দুইজনের সঙ্গেই এখন বিজেপির যোগাযোগ ও সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। এইরকম অবস্থায় এই প্রথমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। সেই জয়ের পরেই এদিন মমতার প্রথম সভা হতে চলেছে আসানসোলে। সন্দেহ নেই সেই সভাতেই যদি সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তৃণমূলে কামব্যাক করেন তাহলে বিজেপির মুখ আরও পুড়বে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদন খারিজ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

নির্বাচন কমিশনকে ‘মেসো’ বলে কটাক্ষ দিলীপের

দইয়ের পর এবার হুগলীর ঘুগনিতে মুগ্ধ রচনা, খেলেন আবার খাওয়ালেনও

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর