নিজস্ব প্রতিনিধি: কাজের ক্ষেত্রে ছুটি পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাই স্ত্রী সহ ছেলেমেয়ে ও পরিবারকে সেভাবে সময় দিতে পারতেন না। মাসে একবার বাড়ি আসতেন। তাতে পরিবারের সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়েছিল। শেষে সেই ঘটনার জেরেই কী তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন? নাকি অন্য কোনও কারণে নিজেকে শেষ করে দিলেন? এই দুই প্রশ্ন তুলে রেখে চলে গেলেন বছর বিয়াল্লিশের পলাশ মণ্ডল(Palash Mondol)। যিনি পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার গড়বেতা-২(Garbeta) ব্লকের জয়েন্ট বিডিও(Joint BDO)। রবিবার সকালে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার জয়নগরে(Joynagar) নিজে বাড়িতে বিষ খেয়েছিলেন। বাড়ির লোকেরা তাঁকে উদ্ধার করে জয়নগরের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান তাঁর অবস্থার অবনতি হলে বিকালেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই রাতের দিকে তিনি মারা যান। সোমবার সকালে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঠিকমতন ছুটি না পাওয়ার জন্য তিনি মাসে একবারের বেশি বাড়ি আসতে পারতেন না। তাই পরিবারকে বেশি সময়ও দিতে পারতেন না। সেই সূত্রে কর্মক্ষেত্রে মনমরা হয়ে থাকার পাশাপাশি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন। গত শনিবার তিনি বাড়ি আসেন। রবিবার সকালে তিনি জয়নগরে তাঁর নিজ বাড়িতেই তিনি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পরে ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনার জেরে কার্যত থম মেরে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি,‘এলাকায় ভাল ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। মেদিনীপুরেই থাকত। ওইখানকার যুগ্ম বিডিও ছিল। তবে ছুটি না পাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে মনে হয়। যখন এমন ঘটনা ঘটায় তখন ঘরে কেউ ছিল না। স্ত্রী বাইরে কাজ করছিল। সেই সুযোগেই বিষ খেয়ে নেয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আর বাঁচানো যায়নি।’ আর এখনেই উঠছে প্রশ্ন, কী এমন ঘটল যে নিজেকে শেষ করে দিলেন এই আধিকারিক? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরু করেছে পুলিশ।