নিজস্ব প্রতিনিধি: পর্যটকদের(Tourists) যোগাযোগের সুবিধার্থে বনাঞ্চল(Jungles) সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল টাওয়ার(Mobile Tower) বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বনদফতর(WBSFD)। সুন্দরবন ও ডুয়ার্সের নানা বনাঞ্চলে এই টাওয়ার বসানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik)। কিন্তু তাঁর এই ঘোষণা ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। পরিবেশবিদ ও পক্ষী বিশারদদের দাবি, এই সিদ্ধান্তের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বনের পশুপাখির জীবন। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা এমনতাও জানা গিয়েছে। কেউ কেউ আবার সরাসরি জাতীয় পরিবেশ আদালতেও(National Green Tribunal) মামলা করার কথা ভাবছেন।
আরও পড়ুন কলকাতার রাস্তায় পার্কিং লটে ডিজিটাল ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক, ট্রায়াল ১০ জানুয়ারি
ঠিক কী বলেছেন বনমন্ত্রী? বৃহস্পতিবার রাজ্যের বনমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের চিলাপাতার জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জঙ্গলের ভিতর সিসি লাইন ও একটি নজরমিনারের উদ্বোধন করবেন। সেই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘জঙ্গলে ঘোরার সময় পর্যটকদের যোগাযোগের সুবিধার্থে রাজ্যের বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে মোবাইল টাওয়ার তৈরি করা হবে। লাগোয়া এলাকায় একটি বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারকে দিয়ে টাওয়ারগুলি বসানো হবে। ওই কোম্পানি আমাদের পশু অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিল। তারাই রাজ্যের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসাবে। আপাতত ৮০-৯০টি টাওয়ার বসাচ্ছি আমরা। আগামী এক বছরের মধ্যে এই টাওয়ার বসানোর কাজ শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন বিবাদের মাঝে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর কান কামড়ে কেটে দিল প্রতিবেশী
পরিবেশবিদদের দাবি, যেখানে বার বারে প্রমাণিত হচ্ছে মোবাইল টাওয়ারের জেরে পশুপাখিদের জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তখন জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রয়োজনটা কী? বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সুন্দরবনের পাশাপাশি শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক, গরুমারা, জলদাপাড়া, ন্যাওড়াভ্যালি, চাপড়ামারি, চিলাপাতা, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প সহ রাজ্যের সমস্ত জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানো হবে।