নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব রাজ্যপালের ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল ।পুজোর উদ্যোক্তারা জানালেন,এই পুরস্কারের টাকা গরীব মানুষদের দিয়ে দেওয়া হোক। ১০০দিনের যারা কাজ করেছেন তাদের কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা পাইয়ে দিতে উদ্যোগ নিন রাজ্যপাল। গরিব মানুষরা টাকা পেলে তারা মনে করবেন তাদের পুরস্কার জেতা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুজো উদ্যোক্তারা তাদের প্রাপ্য পুরস্কার রাজভবনে ফিরিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পত্র পাঠিয়েছেন।
সেখানে তারা রাজ্যপালকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে লিখেছেন এই পুরস্কার তারা গ্রহণ করলেন না। তবে গরিব মানুষরা টাকা পেলে পূজা উদ্যোক্তারা তাদের পুরস্কার জেতা সার্থক হয়েছে বলে মনে করবেন। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি ১০০ দিনের কাজ যে গরিব মানুষরা করেছে তারা তাদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সেই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে গেলে প্রয়োজন কেন্দ্রের আটকে রাখা অনুদান অবিলম্বে রাজ্যকে পাঠানো। দুর্গাপূজোর আগে রাজভবনের সামনে এই প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে ধর্নায় বসে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন বলে কথা দিলধর্না কর্মসূচি তুলে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)।
কিন্তু দাবি আদায় না হলে তিনি ফের তার নির্দিষ্ট টাইমলাইন ৩১শে অক্টোবরের পর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল ১০০ দিনের কাজের আটকে থাকা প্রাপ্য টাকা আদায় করতে দিল্লিতে দরবার করেছেন। এমত পরিস্থিতিতে কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব(Luminious Club) ‘দুর্গা রত্ন’ ফিরিয়ে দিয়ে ফের রাজভবনকে এক বড় বার্তা দিল বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। এবার জেলার বেশ কিছু পুজো সহ কলকাতার চারটি পুজোকে ‘দুর্গারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করেছে রাজভবন।