এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় কোটিপতি ক্যাশিয়ার কেরামতুল্লা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশেষ একটি লটারি(Lottery) সংস্থার দৌলতে বাংলার(Bengal) বুকে এখন হামেশাই সামনে আসছে অতিবড় দরিদ্র মানুষও রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের নামধাম ছবি সব সেই লটারি সংস্থা আবার নানা জায়গায় বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে। লটারি জেতা সেই সব মানুষ আবার প্রশাসনের কাছে মাঝেমধ্যেই পুলিশি নিরাপত্তার জন্য আবেদনও জানাচ্ছেন। কিন্তু কেউ কী কখনও শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) চালু করা লক্ষ্মীর ভান্ডারের(Lakhir Bhandar) দৌলতে কেউ কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন! শুনবেনই বা কী করে? কেননা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তো প্রাপ্য বলতে গেলে মাস প্রতি ৫০০ বা ১০০০ টাকা। তা দিয়ে কী কেউ কোটিপতি হতে পারেন! কিন্তু একজন হয়েছেন। শুধু হওয়াই নয়, রীতিমত পেল্লাই প্রাসাদপম বাড়িও হাঁকিয়েছেন তিনি। আর সেই বাড়ি মাথা তুলে দাঁড়াতেই তিনি এলাকার মানুষ সহ পুলিশের নজরেও পড়েছেন। গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু তিনি করেছেনটা কী? তাঁর নামটাই বা কী? থাকেনই বা কোথায়?

আরও পড়ুন কারা কারা প্রার্থী হতে পারবেন না পঞ্চায়েতে, জানিয়ে দিল কমিশন

নাম তার কেরামতুল্লা শেখ(Keramtulla Sheikh) ওরফে বকুল। বাড়ি নদিয়া(Nadia) জেলার কালিগঞ্জ(Kaliganj) ব্লকের আসাচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানেই একটি কৃষি সমবায় সমিতি রয়েছে যার নাম ‘আসাচিয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কৃষি সমবায় সমিতি’(Asachia Lakhir Bhandar Krishi Samabay Samity)। সেই সমিতির ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পেল্লাই রাজপ্রাসাদ হাঁকিয়ে বসেছিল সে। তবে গত মঙ্গলবার পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছে। এই কেরামতুল্লার উত্থান কিন্তু চোখ ধাঁধানোর মতো। একসময় নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা ছিল তার। থাকত ঝুপড়িতে। একসময় সে মাথায় করে বাড়ি বাড়ি বেগুন বিক্রি করত।‌ বেগুন বিক্রি করতে করতেই সে ইটভাটায় কাজ শুরু করে। সেখানে সামান্য কর্মচারী হিসেবেই সে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু, সেখানে নিজেকে আটকে রাখতে চায়নি কেরামতুল্লা। ইটভাটায় কাজ করতে করতেই সে নিজের কেরামতিতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।

আরও পড়ুন অমর্ত্য সেনের জমির দখল নিতে মরিয়া বিশ্বভারতী

কী সেই কেরামতি? ২০১৪ সাল নাগাদ কেরামতুল্লা আসাচিয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কৃষি সমবায় সমিতিতে ডি গ্রুপের ক্যাজুয়াল কর্মী হিসেবে কাজে ঢোকে। তার কাজ ছিল ঝাড়ুদারের। ২০১৬ সালে সে পার্মানেন্ট স্টাফ হয়ে যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সমিতিতে বকুলেরই আত্মীয়-স্বজনরা তখন কর্মরত ছিল। পার্মানেন্ট স্টাফ হওয়ার পরই কয়েক বছরের মধ্যে সে ক্যাশিয়ার পদে বসে। তখনই সে মোটা টাকার স্বাদ পায়। প্রথম থেকেই বকুল ডাকাবুকো ছিল। সেই ডাকাবুকোর জেরে একদিকে সে যেমন এলাকায় হম্বিতম্বি শুরু করে এলাকার মানুষের নামে বেনামে লোন তুলে, হিসেবে গরমিল করে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করতে শুরু করে। একই সঙ্গে কখনও কখনও উপভোক্তাদের টাকা সরাসরি হাতিয়ে নিত। আবার কখনও উপভোক্তার সামান্য টাকা জমা করে সে বাকি টাকা নিজের পকেটে পুরে নিত। এমনকি ভুয়ো ব্যক্তির নামেও লোন বার করে নিত সে। এটাই ছিল কেরামতুল্লার কেরামতি।‌ উত্থান। সে কোনও দলের নেতা ছিলেন না।‌ তবু তাঁর হাবভাবেই এলাকায় বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খেত। কিন্তু পেল্লাই প্রাসাদ মার্কা বাড়ি গড়েই সেই চলে এল সন্দেহের তালিকায়। একই সঙ্গে সমিতির নিজস্ব তহবিল তছরুপের বিষয় সামনে আসতেই কালিগঞ্জের কো-অপারেটিভ ইন্সপেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : সকাল ১১টা পর্যন্ত বাংলায় ভোটদানের হার ৩৩ শতাংশের বেশি

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর