নিজস্ব প্রতিনিধি: ছাত্র মৃত্যু কাণ্ডে খড়গপুর আইআইটি ডিরেক্টরকে ভর্তসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (HC)। অন্যদিকে, আদালতে রিপোর্ট পেশ না করতে পারা নিয়ে কারণ জানালেন ডিরেক্টর। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি।
শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছিল খড়গপুর আইআইটি’র (KGP IIT) পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু মামলা। প্রসঙ্গত, গত বছরে মৃত্যু হয়েছিল ছাত্র ফয়জান আহমেদের। তাঁর বাড়ি তিনসুকিয়ায়। পড়ুয়া থাকতেন খড়গপুর আইআইটি’র লালা লাজপত রায় হস্টেলে। হস্টেলের রুম থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, র্যাগিংয়ের। অভিযোগ আনা হয়েছিল, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
আদালতে এই মামলা উঠলে খড়গপুর আইআইটি’র ডিরেক্টরকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তবে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। ডিরেক্টরের বক্তব্য ছিল, তিনি বিশেষ কাজে টোকিও গিয়েছিলেন। তাই রিপোর্ট পেশ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
‘কারণ’ শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। বলেন, ডিরেক্টরকে আদালতের ভাষা বোঝেন না? আদালতের প্রশ্ন, আপনার সন্তান হলে কি করতেন? আরও প্রশ্ন, কী করছেন আপনারা? এরপরেই বিচারপতির কড়া প্রশ্ন, আদালতের উত্তর দেওয়া জরুরি না কি টোকিও যাওয়া? আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যদের কলকাতা যাতায়াতের জন্য টাকা নেই। বিচারপতির ভর্তসনা, এমন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ডিরেক্টর কী করে এই কাজ করতে পারেন!
উষ্মাপ্রকাশ করার পরে বিচারপতি বলেন, অনেক মেধাবী পড়ুয়া আছে। তাঁদের জানা উচিৎ র্যাগিং কত ক্ষতিকর। এও বলেন, দেশের জন্য তাঁদের কাজ করতে হবে। তাই প্রতিটি পর্যায়ে কাউন্সেলিং প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।