নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চোর সন্দেহে একটি মহিলার ওপর নির্যাতন করল পুলিশ। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে হুগলির খানাকুলে। জানা গিয়েছে, সোনার বেসলেট চুরির সন্দেহে এক গৃহবধূর ওপর অত্যাচার চালায় হুগলির খানাকুল থানার এক পুলিশ কর্মী। তবে এই অত্যাচারের কারণে সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ এলাকায় একটি পুলিশি ফাঁড়ি রয়েছে। আর সেই ফাঁড়ির মধ্যেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। বেশ কয়েকদিন আগে সেই ফাঁড়িতে হচ্ছিল ভলিবল খেলা । সেই সময় কর্মরত এক পুলিশ কর্মীর সোনার ব্রেসরেট হারিয়ে যায়। এরপরেই পুলিশ নির্যাতিতার ছেলেকে সন্দেহ করে। আর সেই সন্দেহের কারণেই পুলিশ ছেলেটির মাকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
এই ঘটনার ১১ ঘণ্টার পর ওই গৃহবধূর দেহ পাওয়া যায় তার বাড়িতে দিয়ে যান তুষার মণ্ডল নামে এক আধিকারিক । শুধু তাই গৃহবধূর শাড়ির আঁচলে চিকিৎসার জন্য প্রায় এক হাজার টাকা রাখা ছিল। বর্তমানে ওই গৃহবধূ স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে কি করে ভুয়ো সন্দেহে একটি গৃহবধূর ওপর অত্যাচার করল পুলিশ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুধু তাই এই ঘটনার পর পুলিশের ভুমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।