নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে করোনা সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। তাই আর দেরী না করেই বাকি থাকা চার আসনে ভোট করাতে তৈরি নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলের সকালেই সেই কথা জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উৎসবের মেজাজের মাঝেই আগামী ৩০ অক্টোবর ভোট নেওয়া হবে বাকি থাকা চার কেন্দ্রে। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হল খড়দা। একুশের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কাজল সিনহা এই আসনে জয়ী হলেও গণনার আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাই বিধায়ক শূন্য থাকে খড়দা। তারপরেই ভবানীপুর আসনে জেতা শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদে পদত্যাগ করেন আর দলের তরফে তাঁকে খড়দা পাঠানো হয়। তাই ঠিক হয়েই ছিল খড়দার আসনের প্রার্থীর নাম। আজ কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করায় শোভনদেবের হয়ে প্রচারে নেমেছে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার খড়দা বিধানসভার খালপোল, পানশীলা, পঞ্চাননতলা বাজার, রহড়া বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে ফ্লেক্স লাগান শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। শুরু হয়েছে শোভনদেবের সমর্থনে দেওয়াল লিখন। এই প্রসঙ্গে পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হবেন। তাঁর হাত ধরে খড়দার মানুষের একতা, ঐক্য, শান্তি এবং উন্নয়ন আরও শক্তিশালী হবে। জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে।’
২০২১ খড়দা আসনে ব্যাপক ভোটে জয় পান তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিজেপির শীলভদ্র দত্তকে বিপুল মার্জিনে হারালেও জয়ের স্বাদ উপভোগ করে যেতে পারেননি কাজলবাবু। গণনার আগেই করোনার কাছে হেরে যান তিনি। আর ভবানীপুর আসন ছাড়ায় কৃষিমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে গেলে ভোটে জিততেই হবে শোভনদেব বাবুকে তাই দলের তরফে খড়দা আসনে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। যদিও অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্রের বরাবরের আসন খড়দা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২১ শের নির্বাচনে দাঁড়াননি তিনি। এদিকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে গেলে তাঁকেও ভোটে জিততেই হবে। এখন দেখা যাক বাকি থাকা তিন আসন অর্থাৎ গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনহাটার মধ্যে কোনটাতে প্রার্থী করা হয় অমিত বাবুকে নাকি নতুন অর্থমন্ত্রী আনা হবে সেটা খুব শীঘ্রই জানা যাবে।