নিজস্ব প্রতিনিধি: দল বেঁধে কলকাতা থেকে পুরী (Puri) ঘুরতে গিয়েছিল বন্ধুরা। সেই পাঁচজনের দলের একজনের মৃত্যু হল পুরীতেই। আর দেহ ফেলেই কলকাতা ফিরে এল বাকি বন্ধুরা। অভিযোগ, চলে আসার এই ঘটনা জানানো হয়নি থানাতেও। দুর্ঘটনা না কি পরিকল্পিত খুন, তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। মৃতের নাম চয়ন সরকার ওরফে প্রেম(২৫)।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাগুইআটির বাসিন্দা চয়ন। বন্ধুরা মিলে ঠিক করে পুরী বেড়াতে যাবে। চয়নের দলে ছিল আরও তিন বন্ধু। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়া করা হয় একটি গাড়ি। জানা গিয়েছে, চালকের নাম অরিজিৎ নন্দী। চার বন্ধুকে নিয়ে সেই গাড়ি পুরী পৌঁছায় আগামী ৬ এপ্রিল। একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠে তারা। পৌঁছানোর পরের দিনই ওই যুবকের মৃত্যু হয় হোটেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে। এলাকা থেকে খবর যায় স্থানীয় থানায়। পুরী সি বিচ পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভুবনেশ্বর এইমস-এ। তাতেও বাঁচানো যায়নি ওই যুবককে। সেখানেই মৃত্যু (Death) হয় চয়নের।
খবর পেয়ে মৃতের বাবা সঞ্জীব সরকার পুরীতে পৌঁছান। অভিযোগ, থানায় কিছু না জানিয়েই মৃতের বন্ধুরা গাড়ি নিয়ে ফিরে আসে কলকাতায়। সন্দেহ, বন্ধুরাই খুন করেছে চয়নকে। মৃতের বাবা সি বিচ থানায় চয়নের বন্ধু ও গাড়ির চালকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিকল্পিত খুন না কি সত্যিই হোটেলের চারতলার ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু, তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। প্রশ্ন উঠছে, একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার পর বন্ধুর দেহ ফেলে কী করে চলে আসে বন্ধুরা? আবার আসার সময় স্থানীয় থানায় জানানো হয়নি বলেও দাবি পরিবারের।
ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার কলকাতায় আসে পুরী সি বিচ থানার পুলিশ (Police)। যে গাড়িতে করে চয়ন ও বন্ধুরা পুরীতে গিয়েছিল, সেই গাড়ি ও চালককে খোঁজাও শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গাড়ির নম্বর ধরে তল্লাশি চালিয়ে উল্টোডাঙা থেকে সেই গাড়ি ও তার চালককে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। খোঁজ চলছে ঘুরতে গিয়ে দেহ ফেলে পালিয়ে আসা বাকি বন্ধুদের। ধৃতকে আজ আদালতে তোলা হলে তাঁর ট্রানজিট রিমান্ড- এর জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।