এই মুহূর্তে




‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল চাই না’, এসআইআর নিয়ে ফের সরব মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে ফের নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে বড়বাজারের পোস্তা জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে সবার সমান অধিকার। সব প্রকৃত ভোটার ভাল থাকুন। গণতন্ত্রের পিলারকে মজবুত রাখতে হবে। প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে। সকলে যেন নিজ নিজ অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমি কোনও ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ চাই না।’

গত সোমবারই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর কথা ঘোষণা করেছেন ‘বিতর্কিত’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে এসআইআরের কাজ। আর ওই কাজ শুরুর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় খড়দহের বাসিন্দা প্রদীপ কর আত্মহত্যা করেছেন। এদিন কোচবিহারেও খায়রুল হক নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। ওই দুই ঘটনা নিয়ে তেতে উঠেছে বঙ্গের রাজনীতি। কোনও প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে গণতন্ত্র এবং অধিকারের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মের বিষ বাষ্প ছড়ানোর যারা চেষ্টা করছেন তাঁদের এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমরা সকল উৎসবই পালন করি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি আর কিছু চাই না। বাংলা ভাল থাক। মানুষ ভাল থাক। আমরা বিভেদের রাজনীতি করি না। যারা বিভেদের রাজনীতি করে তাঁদের ঘৃণা করি। আমি ডিভাইড অ্যান্ড রুল চাই না। মানবিকতা, মনুষ্যত্ব সবচেয়ে বড় ধর্ম। পাঁচটা আঙুল একসঙ্গে আছে বলেই আমাদের মুঠি শক্ত হচ্ছে। সাদা-কালো, ভাল-খারাপ, ছোট-বড় তো সর্বত্র থাকে। বজ্রমুষ্ঠি আলাদা করা চলবে না। রামকৃষ্ণ দেব, স্বামী বিবেকানন্দ, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও এ কথা বলেছেন।’

রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে পোস্তা বাজারের ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে যে তৃণমূল সরকার উদ্যোগী হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই এখানকার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা কোনও সমস্যা নিয়ে গিয়েছেন, আমি চেষ্টা করেছি তা সমাধানের। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্যা ছিল। আমি মলয় ঘটককে বলে সেই সমস্যাটা তো সমাধান করেছি। তারপর বড়বাজারে ফায়ার ব্রিগেড করা হয়েছে। করোনার সময় এই পোস্তা বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন সবাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে বলেছিলাম বাজার খুলতে। নিরাপদে থেকে বাজার খোলা হয়েছিল।’ বড়বাজারে প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে মমতা বলেন, ‘এখানে বহু দাহ্য পদার্থ মজুত থাকে। ফলে মাঝে-মধ্যে আগুন লেগে যায়।  সেই দিকটায় নজর দিতে হবে। সেফটি-সিকিউরিটির যাতে প্রবলেম না হয় সে বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। এখানে অনেক পুরনো বাড়ি আছে, যেগুলো ভেঙে পড়ছে। আপনারা নিরাপত্তার স্বার্থে পুরসভার নোটিশ মেনে কাজ করুন। ভাবছেন এই বাড়ি যদি দিয়ে দিই, তাহলে আমাদের আর বাড়ি মিলবে কি না। আমি বলছি, যার যতটা অধিকার আছে, তারা সবাই পাবেন, সার্টিফিকেটও পাবেন। নতুন ঘর তৈরি হলে সবাই পাবেন। আপনার অধিকার, আপনারই থাকবে। কিন্তু জীবন সবার আগে। বাড়ি ভেঙে পড়লে জীবন চলে যেতে পারে।’ এদিন পোস্তাবাজার মার্চেন্টস অ্যাসেসিয়েশনের জগদ্ধাত্রী পুজোর মঞ্চ থেকেই কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের পাশাপাশি চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর ও অন্যান্য এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোনাগাছির যৌনকর্মীরা কার্তিক পুজোয় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে

হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাওয়া সদ্যোজাত শিশুকে ভাঙড় থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ, গ্রেফতার ২

অপরিচিতার কাছে শিশু পুত্রকে রেখে ওষুধ কিনতে যান মা, সদ্যোজাতকে নিয়ে উধাও যুবতী

১৮ নভেম্বর থেকে শুরু SSC-র নথি যাচাই! প্রথম দিন ডাক বাংলা বিষয়ের ৭১০ প্রার্থীকে

নিউটাউনে বীরভূম থেকে আসা গাড়ি থেকে উদ্ধার ৫ কোটি টাকা, ২ জনকে গ্রেফতার করল এস টি এফ

কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত জারি! পাহাড়ে একতরফা মধ্যস্থতাকারী নিয়োগে মোদিকে ফের চিঠি মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ