নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: অর্জুন নগরের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি কুনাল ঘোষের। এনআইএ মিথ্যে মামলায় দুই তৃণমূল নেতৃত্বকে গ্রেফতার করেছে, বলে তোপ দাগেন কুনাল ঘোষ। কুনাল ঘোষ(Kunal Ghosh) গ্রাম বাংলার মহিলাদের নতুন টিপস দেন। তিনি বলেন, এখন থেকে রাত দুপুরে কোন এজেন্সির বেশে কোন আগন্তুক এলে তাকে ঘিরে রাখতে হবে। গ্রামের সব মহিলাদের এক জায়গায় জড়ো করতে শঙ্খ বাজাতে হবে, উলুধ্বনি দিতে হবে। পুলিশ না আসা পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে কেউ গ্রামে ঢুকলে তাকে ঘিরে রাখুন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরের অর্জুননগর অঞ্চলে তৃনমূল কংগ্রেস কমিটির আয়োজনে জনগর্জন সভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভার(Bhagabanpur Municipality) অর্জুননগরে জনগর্জন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই গ্রামের মহিলাদের এই নির্দেশ দেন কুণাল ঘোষ।নাড়ুয়াবিলা বোম বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে এসে এনআইএ(NIA) গ্রেফতার করে অর্জুননগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলাই মাইতি ও নাড়ুয়াবিলা বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে। এরপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। দুজন তৃণমূল নেতৃত্বকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীদের ঘরছাড়া করতে এই ধরনের নক্কারজনক কাজ করছে বিজেপি। এই অভিযোগ সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রবিবার এই জনগর্জন সভা অনুষ্ঠিত হয়,অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে।
এদিনের সভা থেকে কুনাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) তোপ দাগেন – রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ বিজেপি ইডি, এন আই এ ব্যবহার করে এলাকার শান্ত পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।কুনাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলাই মাইতি ও মনাব্রত জানার স্ত্রীকে মঞ্চে ডেকে আশ্বস্ত করেন, সমস্ত কিছু উনারা দেখভাল করবেন। যেকোনো আইনজীবী লাগুক যেখানে যেতে হোক তারা যাবেন। কারণ এরাই হলো তৃণমূলের আসল সম্পদ। পাশাপাশি এই দিনের মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দেন কুনাল ঘোষ।